এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা রোগীদের রক্ত থেকে নেয়া প্লাজমা এ রোগে আক্রান্ত অন্য রোগীদের দেয়া হলেও সেটি তাদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার বা মারা যাওয়ার সম্ভাবনা কমাতে পারে না।
সিএনএন জানিয়েছে, ভারতে পরিচালিত এ গবেষণাটি বৃহস্পতিবার বিএমজে মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
ফলাফলে দেখা গেছে, মাঝারি মাত্রার কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপির সীমিত কার্যকারিতা দেখা গেছে।
কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে নিয়ে করা এ গবেষণায় মাঝারি মাত্রায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি দেয়া নিয়ে অনুসন্ধান করা হয়েছিল বলে জানায় আল জাজিরা।
গত আগস্টে প্লাজমার কার্যকারিতা নিয়ে প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর একে ‘ঐতিহাসিক অগ্রগতি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন নতুন গবেষণাটি চিকিৎসার জন্য এক ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয় দেশেই জরুরি অবস্থায় প্লাজমা থেরাপির ব্যবহার অনুমোদন রয়েছে।
যুক্তরাজ্যসহ অন্য দেশগুলোও প্লাজমা সংগ্রহ করছে যাতে এটি কার্যকর চিকিৎসা হিসেবে প্রমাণিত হলে এ পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে পারে।
রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলুলার মাইক্রোবায়োলজি বিশেষজ্ঞ সিমোন ক্লার্ক বলেন, ইঁদুরের ওপর করা ট্রায়ালে দেখা গেছে ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রোগীদের সেরে ওঠার ক্ষেত্রে এর প্রভাব সামান্য। যা এ রোগ থেকে সেরে ওঠার জন্য যথেষ্ট না।
‘সহজ ভাষায় বললে, এ থেকে রোগীরা কোনো ক্লিনিক্যাল সুবিধা পাননি,’ বলেন তিনি।
এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা না থাকায় বিশ্বের অনেক দেশ করোনাভাইরাস মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করতে হিমসিম খাচ্ছে।