বিকালে অনলাইনে ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, বিশ্বখ্যাত মেডিকেল যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেডট্রনিক্স ও ওয়ালটনের কারিগরি সহযোগিতায় দেশে তৈরি ভেন্টিলেটরের ৩ মডেলের ফাংশনাল প্রোটোটাইপ শিগগিরই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে প্রেরণ করা হবে। তাদের ছাড়পত্র পাওয়ার পরপরই ওয়ালটন পরীক্ষামূলক ও বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি ।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান, ফাংশনাল প্রোটোটাইপের তিনটি ভেন্টিলেটরের মধ্যে একটি ওয়ালটন মেডট্রনিক্সের সাথে তৈরি করেছে। অন্য দুটি ওয়ালটনের নিজস্ব উদ্ভাবনী। মেডট্রনিক্সের সাথে তৈরিকৃত এ ভেন্টিলেটরের নাম দেয়া হয়েছে ডব্লিউপিবি ৫৬০। আর ওয়লটনের নিজস্ব উদ্ভাবনে তৈরিকৃত ভেন্টিলেটরের নাম ‘ওয়ালটন কোভিড বিল্ড ভেন্টিলেটর ২০২০’ বা ডব্লিউসিভি-২০ এবং ডব্লিউএবি-২০।
করোনা মহামারি খুব শিগগিরই শেষ হবে আশা করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘মহামারি দীর্ঘ হলে আমরা দেশে তৈরি মানসম্মত ভেন্টিলেটরের দ্বারা চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হব। ইতোমধ্যে এটুআই ইনোভেশন ল্যাব থেকে ১৮টি ভেন্টিলেটর তৈরি করা হয়েছে। এগুলোর মান যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।’
এ সময় আইসিটি বিভাগের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে মেডট্রনিক্স এবং ওয়ালটনের সাথে সমন্বয় করার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্পকে ধন্যবাদ জানান পলক।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি সচিব এনএম জিয়াউল আলম, এলআইসিটি প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি অ্যাডভাইজার সামি আহমেদ, ওয়লটনের ভেন্টিলেটর প্রকল্প প্রধান প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ, লিয়াতক আলী, ওয়ালটনের পরিচালক লিয়াকত আলী, মেডট্রনিক্সের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অংশ নেন।