টুইটারের সাবেক নিরাপত্তা প্রধান পিটার জাটকো মাধ্যমটির দুর্বল সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থার বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ভুল ব্যাখ্যা দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন। ভুয়া অ্যাকাউন্ট যেগুলোতে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে থাকে, তা সরানোর পদক্ষেপ নিতেও অবহেলা করেছে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে দাখিল করা এক অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিকে গুরুতর আইনি ও আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এতে টুইটার বেশি করে চাইবে ইলন মাস্কের সঙ্গে চার হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তিটি যাতে সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সদস্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অভিযোগটি তদন্ত করতে বলেছেন।
পিটার অভিযোগটি যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশন, ফেডারেল ট্রেড কমিশন এবং বিচার বিভাগের কাছে গত মাসে দাখিল করেন। অভিযোগের বিষয়ে পিটারের সঙ্গে কাজ করেছে আইনবিষয়ক অলাভজনক সংস্থা ‘হুইসেলব্লোয়ার এইড’। নিশ্চিত করে, ওয়াশিংটন পোস্ট অনলাইনে পোস্ট করা অভিযোগের একটি সংশোধিত অনুলিপির সত্যতা। পিটারের অভিযোগটি ওয়াশিংটন পোস্ট অনলাইনে ছেড়েছে এবং এর সত্যতা হুইসেলব্লোয়ার এইড নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: টুইটার বোর্ডে থাকছেন না ইলন মাস্ক
সংস্থাটির সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান উন্মোচন কর্মকর্তা জন টাই মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটিই তাঁর (পিটার) জন্য শেষ আশ্রয় ছিল’। পিটারকে এবছরের জানুয়ারিতে বরখাস্ত করা হয়।
পিটারের গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, টুইটার ২০১১’র এফটিসি (ফেডারেল ট্রেড কমিশন) শর্তাবলী লঙ্ঘন করে। টুইটার মিথ্যা দাবি করেছিল যে কোম্পানিটি এর ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। পিটারের আরও অভিযোগগুলোর একটি হল, স্প্যাম বা ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কোম্পানিটি প্রতারণা করেছে। ঠিক এ কারণেই ইলন মাস্ক চেষ্টা করছে টুইটার কিনে নেয়া থেকে পিছিয়ে আসতে।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার টুইটার ইনকরপোরেটেডের শেয়ার সাত শতাংশের বেশি কমেছে।