বাংলাদেশের বাজারে চীনের বহুজাতিক প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো যাত্রা শুরু করে ২০১৭ সালে। যাত্রা শুরুর তিন বছরের মধ্যে পপআপ সেলফি ক্যামেরা, ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তিসহ নানা রকম প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে ভিভো। এছাড়াও স্মার্টফোনের জন্যে উন্নত প্রযুক্তির অডিও চিপও এনেছে ভিভো।
বৃহস্পতিবার ভিভোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্মার্টফোনে নতুন প্রযুক্তির সংযোজনই ভিভোর অন্যতম লক্ষ্য। আর এ কারণে স্মার্টফোনে নতুনত্ব ও কার্যকারিতা বাড়াতে বিরতিহীন কাজ করে যাচ্ছে ভিভো। এ জন্যই প্রতিষ্ঠানটির বেশির ভাগ কর্মীই প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে। শুরুতে চীনের বাজারের পর দ্রুত ভারত ও ফিলিপাইনের বাজারেও দুর্দান্ত সফলতা পায় ভিভো। সর্বশেষ বাংলাদেশের বাজারে ভিভো অসাধারণ সফলতা অর্জন করে।
সম্প্রতি, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বদলে যায় বিশ্বের পরিস্থিতি। নতুন প্রযুক্তি নিয়ে নতুনভাবে শুরু করতে হয় বাংলাদেশকেও। আর এ করোনার সময়ে মধ্যবিত্তের নাগালে তথ্যপ্রযুক্তি পৌঁছে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে ভিভো। হাতের নাগালে থাকা দামে নতুন উদ্ভাবনের স্মার্টফোন বাজারে এনেছে ভিভো।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিভোর বাজার রয়েছে। তবে, কৌশলগতভাবে বাংলাদেশের বাজার গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে বিপুল সংখ্যক স্মার্টফোন রিটেইলশপ এবং ১২টি সার্ভিস সেন্টার খুলেছে ভিভো।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত নিজেদের সেরা ডিভাইসগুলোই এনেছে ভিভো। এর মধ্যে ফ্ল্যাগশিপ ছাড়াও রয়েছে মিডরেঞ্জ ও বাজেট ফোন। তবে, করোনার সময়ে মিডরেঞ্জের ডিভাইসে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এনেছে ভিভো ওয়াই৫০ ও ওয়াই৩০ এর মতো স্মার্টফোনগুলো। ক্যামেরা, ব্যাটারি ও দামের জন্য ইতোমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে এ স্মার্টফোন দুটি। এছাড়াও বাজারে রয়েছে আরও এক জনপ্রিয় স্মার্টফোন ভিভো ভি১৯। ক্যামেরা প্রযুক্তি ও ডিসপ্লে ডিজাইনের জন্যে জনপ্রিয়তা পায় ভিভোর এ ফোন।
ভিভো বাংলাদেশের ডেপুটি ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজীব আহামেদ বলেন, ‘বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা তরুণ প্রজন্মের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলি। বাংলাদেশে ভিভোর যাত্রা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে। এরই মধ্যে ভিভো ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও পপআপ সেলফি ক্যামেরার মতো প্রযুক্তি বাজারে এনেছে। তবে, গ্রাহকদের কাছে পছন্দসই স্মার্টফোনের পাশাপাশি ফোনের দামটিও গুরুত্বপূর্ণ। তাই করোনাকালীন এ সময়ে ভিভো মিডরেঞ্জের ফোনগুলো বাজারে এনেছে।’