‘৩০ কোটি বাঙালির সাংস্কৃতিক রাজধানী হবে ঢাকা। সেখান থেকেই বাংলার গল্প ছড়িয়ে যাবে গোটা দুনিয়ায়।’ - এই স্বপ্ন নিয়েই ঢাকার সাত নির্মাতার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ফিল্ম সিন্ডিকেট’ এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
২০২০ সালে কোভিডের দিনগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। ইতোমধ্যে তাকদীর, ঊনলৌকিক, কারাগার ও কাইজারের মতো আলোচিত ও দর্শক সমাদৃত ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করেছে।
সোমবার (২০ মার্চ) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে তরুণ ও সৃজনশীল পেশাদারদের নিয়ে গড়া প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ফিল্ম সিন্ডিকেট’ সাতটি নতুন ওয়েব সিরিজ ও পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রসহ মোট ১২টি নতুন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বছরের আলোচিত ৫ বাংলা ওয়েব সিরিজ
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ফিল্ম সিন্ডিকেটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিইও মীর মোকাররম হোসেন এই উদ্যোগের লক্ষ্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রযোজনায় একটি সাসটেইনেবল ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্যে এগোচ্ছি। যাতে পরিচালক, লেখক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী ও প্রযুক্তিবিদরা তো থাকবেনই, এর পাশাপাশি ব্র্যান্ড, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, প্রযোজনা সংস্থা, পরিবেশক, প্রদর্শক, সম্প্রচারক ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মকে এক ছাদের নিচে নিয়ে এসে আমরা একটি সুদূরপ্রসারী অংশীদারিত্বের সংস্কৃতি তৈরি করতে চাই।’
২০২০ সালে মীর মোকাররম হোসেনের উদ্যোগে চলচ্চিত্র নির্মাতা তানিম নূর, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, সালেহ সোবহান অনীম, সৈয়দ আহমেদ শাওকী, রুমেল চৌধুরী এবং রেহমান সোবহান সনেটকে নিয়ে গঠিত হয় ‘ফিল্ম সিন্ডিকেট’।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ‘কাইজার’- এর নির্মাতা তানিম নূর জানান, ফিল্ম সিন্ডিকেট নিজেদের কাজের মাধ্যমেই সৃজনশীল সহযোগিতার পথ তৈরি করতে চায়। স্টুডিওতে চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং লেখকদের প্রযোজনা তত্ত্বাবধানেরও ওপর জোর দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ফিল্ম সিন্ডিকেটের আসন্ন ১২টি প্রযোজনার ঘোষণা দেন নির্মাতা ও প্রতিষ্ঠানটির আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকী। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সাতটি ওয়েব সিরিজ- ‘ঊনলৌকিক ২’, ‘পেন্ডুলাম’, ‘গুলমোহর’, ‘ডেল্টা ২০৫১’, ‘দ্বৈত’, ‘অদানব’ এবং ‘ফ্রেন্ডস উইদাউট বেনিফিটস’।
আর ফিল্ম সিন্ডিকেট ঘোষিত পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্যে চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘লোহানী’, ‘বাইপাস’, ‘খোঁয়ারি’, ‘পুলসিরাত’ এবং ‘হেল ব্রোক লুজ’।
নিজ নিজ পেশাদার জীবনে ফিল্ম সিন্ডিকেটের প্রতিষ্ঠাতারা স্বল্প ও ফিচার-দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র এবং ফিকশন তৈরি করেছেন। যেমন, পায়ের তলায় মাটি নেই, পাতালঘর, ফিরে এসো বেহুলা, ইতি তোমারই ঢাকা, লাইট ক্যামেরা অবজেকশন ইত্যাদি।
এগুলো প্রদর্শিত হয়েছে বুসান, মস্কো, কলকাতা, গোয়া, লোকার্নো, ভেনিস, এশিয়ান ডক ল্যাব-এর মতো বিভিন্ন বিখ্যাত চলচ্চিত্র উৎসবে। ভূষিত হয়েছে নানা আন্তর্জাতিক পুরস্কারে।