বিএফডিসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে। যা চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। গতবারের মতো এবারও এফডিসির ভেতর ও বাহিরে পুলিশ ও র্যাবের নিরাপত্তায় চলছে ভোট কার্যক্রম।
এবার ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ এবং মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেলের হয়ে লড়ছেন ৪২ জন প্রার্থী। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন অভিনেতা ডন ও হরবোলা।
এবারের নির্বাচনে ভোট দেবেন ৪২৮ জন ভোটার। সকাল থেকে ভোটার সংখ্যা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে তারকাদের আগমনে মুখর হয়ে উঠে এফডিসি প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন অসঙ্গতি ও অভিযোগের মধ্যেও নির্বাচন নিয়ে অনেকটাই সন্তষ্ট প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: আমাকে বারবার অপমানিত হতে হয়েছে: পপি
সমিতির সাবেক সভাপতি ও এবারের সভাপতি পদপ্রার্থী মিশা সওদাগর বলেন, ‘নির্বাচনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আমরা শিল্পী। প্যানেল যেটাই হোক এবং যারাই জয়ী হোক, সবার আমরা নিজেরাই। ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে নির্বাচন করতে পারছি এটি আমার অনেক বড় পাওয়া।’
অন্যদিকে আরেক প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘মিশা সওদাগর ঠিকই বলেছেন। আমরা শিল্পী। নির্বাচন মানেই আমরা ভিন্ন কেউ না। আমরা একজন অন্যজনকে সহযোগিতার মধ্য দিয়েই সমিতি এগিয়ে যাবে। আমি জয়ী হলেও মিশার সাহায্য লাগবে। তার পরামর্শ নেব।’
দুপুরের দিকে ভোট দিতে আসেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। ভোটের পরিবেশ নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট তিনি। অপু বলেন, ‘এফডিসি প্রবেশের পরই বেশ ভালো লাগছে। সুন্দর পরিবেশ। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। অনেকদিন পর শিল্পীদের এমন মিলনমেলা। যারা নেতৃত্বে আসবেন তাদের কাছে শিল্পীদের জন্য কিছু করার প্রত্যাশা থাকবে।’
আরও পড়ুন: ইভ্যালির প্রতারণার মামলা: তাহসান খানের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপূণ আক্তার অভিযোগ দেন অন্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকক্ষণ ধরেই শুনছি এফডিসির প্রবেশ পথ থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ভোটারদের টাকা দিচ্ছেন জায়েদ খান। বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেও এর প্রতিকার পাচ্ছি না। এ জায়গায় দাঁড়িয়ে ভোট চাওয়াই নিষেধ৷ তারা ভোট চাইছে, টাকা দিচ্ছে৷ তাই এখন আমরাও এখানে দাঁড়াব৷'
কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করে জায়েদ খান বলেন, ‘নির্বাচনে অভিযোগ থাকবেই। তবে আমার বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আপনারা সবাই এখানে দাঁড়ানো। সব দেখছেন, বুঝছেন। এখানে সিসি ক্যামেরাও আছে। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা ঠিক নয়। নির্বাচনের ইমেজ নষ্ট হয়।’
উল্লেখ্য, এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পীরজাদা হারুন। তার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে আছেন জাহিদ হোসেন ও বি এইচ নিশান।