১৯৮৩ সাল। বছরটি ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এ বছরেই প্রথমবারের মত ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করেছিলো ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দল। আর সেই দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার কপিল দেব। আজহার উদ্দীন, মাহেন্দ্র সিং ধোনি, ও শচীন টেন্ডুলকারের পর এবার বায়োপিক নির্মিত হলো ভারতীয় ক্রিকেটের এই অগ্রদূতকে নিয়ে। ‘৮৩’ শিরোনামের মুভিটিতে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি উঠে আসবে কপিল দেবের জীবনের তাৎপর্য বহুল ঘটনাপ্রবাহ। চলুন, এই নতুন সিনেমাটির ব্যাপারে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক।
‘৮৩’ চলচ্চিত্র ও ক্রিকেট নস্টালজিয়া
টিম ম্যানেজার সহ ১৯৮৩ সালের পুরো ক্রিকেট স্কোয়াডকে হাজির করা হচ্ছে সিনেমার পর্দায়। সে সময়কার জার্সি, ক্রিকেট সাজ-সরঞ্জাম এবং অবশ্যই সে সময়কার রঙ নিয়ে তৎকালীন তরুণ দর্শকদের নস্টালজিয়ায় ভাসিয়ে দিতে একের পর এক প্রদর্শিত হবে ঐতিহাসিক দৃশ্যগুলো। সমগ্র ইংল্যান্ড জুড়ে ক্রিকেট মাঠগুলোতে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে ভারতের অংশগ্রহণকে আরও একবার প্রাণবন্ত করা হবে দর্শকদের সামনে।
এই টাইম ট্র্যাভেলে কপিল দেবের পাশাপাশি সুনীল গাভাস্কার ও রবি শাস্ত্রীর মত ক্রিকেটারদের সমহিমায় দেখতে পাবে ২১ শতকের দর্শকরা। শত চমকের খোরাক যুগিয়ে সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১।
আরও পড়ুন: হলিউড ক্ল্যাসিক ‘ফরেস্ট গাম্প’ এর হিন্দি রিমেকে একসাথে বলিউডের তিন খান
কপিল দেব: ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক
১৯৫৯ সালের ৬ জানুয়ারি ভারতের চন্ডিঘড়ে কপিল দেব রামলাল নিখঞ্জের জন্ম। ব্যাট-বল হাতে খেলাধুলার বাতিকটা ছিলো তাঁর শৈশব থেকেই।
তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৭৮ সালে পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে টেস্ট ক্রিকেটের মাধ্যমে। মজার ব্যাপার হলো, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনে তাঁর প্রথম বলটিই ছিলো নো বোল।
কপিল দেশের মাটিতে সবচেয়ে দ্রুততম বোলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ১৯৭৯ সালে অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, যেখানে তিনি দুটি ম্যাচে ৫টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: পুনিথ রাজকুমার: কান্নাড়া চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতার পরোপকারী ক্ষণস্থায়ী জীবন
১৯৭৯-৮০ সিজনে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের মাধ্যমে তিনি কনিষ্ঠতম টেস্ট খেলোয়ার হিসেবে তাঁর শততম উইকেট অর্জন করেন। ব্যাটিং ও বোলিং উভয় ক্ষেত্রে তাঁর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলতো সে সময়কার বিখ্যাত অলরাউন্ডার পাকিস্তানের ইমরান খানের।
১৯৮৩ সালে সুনীল গাভাস্কারের স্থলে অধিনায়কের দায়িত্ব পান কপিল দেব এবং দায়িত্বের সুষ্ঠু প্রয়োগ করে বিশ্বকাপে বিজয় এনে দেয় ভারতকে।