মেরিলিন মনরো; নজরকারা সৌন্দর্য, সুতীব্র মোহময়তা ও অসামান্য প্রতিভা-সব যেন একাকার হয়ে ধরা দিয়েছিল এক নারীর মধ্যে। ছয় দশক আগে মারা গিয়েও বিশ্বের সেরা সুন্দরীদের কথায় বার বার উঠে আসে তার নাম।

দশকের পর দশক মার্কিন এই অভিনেত্রী, মডেল ও গায়িকার মোহে বুঁদ হয়ে আছে অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী।

তবে এবার নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে ‘ব্লনডি’ কে ঘিরে। ভাবছেন ব্লনডি আবার কি! স্বর্ণকেশী? 

তা ভাবলেও ভুল হবে না। মেরিলিন যে তার স্বর্ণকেশের জন্যও বিখ্যাত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। 

তবে এই ব্লনডি কিন্তু নেটফ্লিক্সের একটি সিনেমা।

সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে মার্কিন লেখক জয়েস ক্যারল ওটসের উপন্যাস অবলম্বনে। ২০০০ সালে প্রকাশিত উপন্যাসটিও একই শিরোনামের।

আরও পড়ুন: মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব: এবার বিশেষ জুরি পুরস্কার পেল ‘আদিম’

যদিও সিনেমাটির এনসি রেটিং-১৭ (১৭ বছর বা তার কমবয়সীদের জন্য প্রযোজ্য নয়) ও বিলম্ব মুক্তির কারণে নানা সমালোচনার মুখে পড়েছে। 

আবার ট্রেলারে এর তারকা আনা ডি আরমাস ও তার স্থানীয় কিউবান উচ্চারণ সম্পর্কে বেশ কৌতূহলও ছিল বটে। 

এদিকে,এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ছবিটি তৈরি করার চেষ্টা চালানো পরিচালক অ্যান্ড্রু ডমিনিক সিনেমাটিকে একটি মাস্টারপিস বলছেন।

‘ব্লনডি’ এ মাসের শুরুর দিকে ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এক উচ্ছ্বসিত প্রশংসা পেয়েছে। 

তবে চলচ্চিত্র সমালোচকদের মধ্যে দেখা গেছে ভিন্ন অভিমত। কেউ ডমিনিকের উপস্থাপনা পছন্দ করেছেন, কেউ আবার বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। 

সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন নিউ ইয়র্কার এ বিষয়ে বলছে, ‘সম্মান করতে গিয়ে নারীর প্রতি মারাত্মক অপমান।’ 

এদিকে ২০০০ সালের ওটসের উপন্যাসের প্রতিক্রিয়া থেকেও ভিন্ন নয় নতুন সিনেমাটি। 

এমনকি মিশেল উইলিয়ামসকে তার অভিনয়ের জন্য অস্কারের মনোনয়ন পাওয়া ‘মাই উইক উইথ মেরিলিন’ নিয়েও আলোচনারও ভিন্ন নয়। 

আরও পড়ুন: ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে ৯০ শতাংশ বিদেশি শিল্পীই ‘অবৈধ অভিবাসী’

সে যাই হোক, সবকিছুর ঊর্ধ্বে থাকবে মনরোর সঙ্গে তার ভক্তদের সম্পর্ক ও ভালোবাসা। 

ডমিনিক তার কাজের অংশ হিসেবে অনেক পর্যালোচনা পড়েছেন। 

তিনি বলেন, ইতিবাচক বা নেতিবাচক, উভয় প্রতিক্রিয়াই এর সাফল্যের পরিচায়ক। পছন্দ করুন বা না করুন, মনরোর সঙ্গে যা ঘটেছিল, ২৮ সেপ্টেম্বরে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘ব্লনডি’ আপনাদের যে ভালো অনুভব করাবে তা আমি চাইও না।

ডমিনিক এ সপ্তাহের শুরুর দিকে সিনেমাটিকে একটি হরর (ভৌতিক) সিনেমা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। 

তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি প্রচণ্ড ধাক্কা, একটি বেদনার চিৎকার ও একটি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’ 

সিনেমায় দেখা যাবে নর্মা জিন বেকারের (পূর্বের নাম) সংক্ষিপ্ত জীবনের মধ্যদিয়ে এক পরাবাস্তব যাত্রা। যেখানে সিজোফ্রেনিয়ার সঙ্গে জীপনযাপন করা মার সঙ্গে কাটানো মনরোর শৈশব এবং ধীরে ধীরে হলিউডে মেরিলিন মনরো হিসেবে পরিচয় পাওয়ার গল্প। 

আরও দেখা যাবে বেসবল তারকা জো ডিম্যাগিও (ববি ক্যানাভালে) ও নাট্যকার আর্থার মিলার (অ্যাড্রিয়ান ব্রডি) এর সাথে বিয়ে,তার আসক্তি,তার দুর্ব্যবহার ও আক্রমণ,তার গর্ভপাত এবং ৩৬ বছর বয়সে মাত্রাতিরিক্ত বারবিচুরেটের (এক প্রকার ঘুমের ওষুধ) কারণে তার মৃত্যু।

আরও পড়ুন: মুক্তি পেল ‘বিউটি সার্কাস’ ও ‘অপারেশন সুন্দরবন’