বিশ্বব্যাপী কোরিয়ান পপ-কালচারের জোয়ারে সাম্প্রতিক সংযোজন নেটফ্লিক্স অরিজিনাল কোরিয়ান ওয়েব সিরিজ স্কুইড গেম। সপ্তাহের সর্বাধিক দেখা টিভি-শো, সর্বাধিক স্ট্রীম করা ওয়েব প্রোগ্রাম, সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সর্বাধিক আলোচিত বিষয় এই রেকর্ডগুলো এখন সব স্কুইড গেম-এর দখলে। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যসহ মোট ৯০টি দেশে টিভি-শোগুলোর তালিকায় শীর্ষস্থানটি ধরে রেখেছে এই কোরিয়ান ভাষার টিভি সিরিজটি। গ্যাংনাম স্টাইলের দশক পেরোতে না পেরোতেই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বিটিএসের পাশে রাজকীয় আবির্ভাব ঘটেছে স্কুইড গেম-এর। চলুন, সাম্প্রতিক চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এই ওয়েব সিরিজটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই।
নেটফ্লিক্স অরিজিনাল স্কুইড গেম-এর আদ্যোপান্ত
চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর নেটফ্লিক্স থেকে সারা বিশ্বে মুক্তি পায় দক্ষিণ কোরিয়ার এই টিভি সিরিজটি। থ্রিলারধর্মী এই ড্রামা সিরিজটির চিত্রনাট্যে ও পরিচালনায় আছেন হোয়াং-ডং-হিউক।
ডিস্টোপিয়ান সময়ের প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত সিরিজটির নামকরণ করা হয়েছে কোরিয়ান বাচ্চাদের একটি গেম থেকে। গেমটিতে জেতার জন্য একটি দল মেঝেতে আঁকা স্কুইড-এর মাথায় তাদের পা রাখার চেষ্টা করে। অপরদিকে আরেকটি দল চেষ্টা করে তাদেরকে স্কুইড-এর নকশাটির কাছ থেকে দূরে রাখার।
পড়ুন: অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে জেমস বন্ড মুভি ‘নো টাইম টু ডাই’
ড্রামাটিতে দেখানো হয় ৪৫৬ জন খেলোয়ার প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয় ৪৫.৬ বিলিয়ন ওন মূল্যের পুরস্কারের জন্য।
অন্যদিকে প্রতিযোগিতাটির মূল উদ্দেশ্য থাকে পশ্চিমা মহারথিদের বিকৃত আমোদপ্রমোদের খোরাক। ক্রমান্বয়ে গেমটি যখন প্রত্যেক খেলোয়ারকে পরস্পরের বিরুদ্ধে ধাবিত করে তখন খেলোয়াররা বুঝতে পারে তারা আটকে গেছে মরনপণ এক গোলকধাঁধায়।
সিরিজটিতে অভিনয় করেছেন পার্ক হেই-সু, লি জুং-জেই, উই হা-জুন, ও ইয়ং-সু, জুং হো-ইয়েন, হিউ সুং-তেই, কিম জু-রাইয়ং এবং অনুপম ত্রিপাঠি।
পড়ুন: মুন্সিগিরি: চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে অমিতাভ রেজা’র আরেকটি অসামান্য চলচ্চিত্র
সাইরেন পিকচার্স ইন্ক.-এর প্রযোজনায় এখন পর্যন্ত টিভি-শোটির ৯টি পর্বের একটি সিজন দেখানো হয়েছে।
কোরিয়ান ওয়েব সিরিজ স্কুইড গেম-এর জনপ্রিয় হয়ে ওঠা
স্কুইড গেম-এর জনপ্রিয় ওঠার পেছনে অন্যতম কারণ হলো ৩৭টি ভাষার সাবটাইটেল ও ৩৪টি ভাষার ডাবিং সংস্করণ। এই সুবাদে অসহায় প্রাপ্তবয়স্কদের বাচ্চাদের খেলায় জেতার চিত্রনাট্যটি বেশ ভালোভাবেই গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে দর্শকদের কাছে। তাছাড়া খেলার খুটিনাটি দিয়ে পুরো ড্রামাটাকে অতিরঞ্জিত না করায় সিরিজপ্রেমীরা চরিত্রগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে পেরেছে। আর এভাবেই টিভি-শোটি বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্রের নাটকীয়তা দিয়ে দর্শকদের মনে রেখাপাত করার চেষ্টা করেছে এবং এই চেষ্টা কতটুকু সফল হয়েছে তা বোঝা গেলো যখন প্রিমিয়ারের তিন সপ্তাহের মাথায় সামাজিক মাধ্যমে সিরিজটির ফলোয়ার ১৩ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেল।