১৩ বছর ধরে জীবন এবং অর্থের উপর রক্ষণশীল নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে নীরব থাকার পর এবার মুখ খুলেছেন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স।
বুধবার শুনানিতে অংশ নিয়ে বিচারকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'আমার একটি জীবন প্রাপ্য। আমি আমার জীবন ফিরে পেতে চাই।‘
আরও পড়ুনঃ জন্মদিনে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি মিঠুন
প্রথমবারেরর মতো মামলার শুনানিতে তিনি তার বাবা ও আরও দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জানান, তার বাবা তাকে জোর করে মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন। তিনি এই আপত্তিজনক মামলা থেকে রেহাই চান। এ সময় তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য হতাশাজনক এবং দাসত্বমূলক।’
ব্রিটনি জানান, অভিযুক্তরা তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জন্ম নিয়ন্ত্রণে বাধ্য করেছেন । বিয়ে এবং সন্তান নিতে বাধা দিয়েছেন।
এই ধরণের রক্ষণশীলতা তার ভালোর চেয়ে খারাপ করেছে বেশি-জানিয়ে ব্রিটনি বলেন, ‘আমি সত্যিকার অর্থে বিশ্বাস করি এই ধরনের সংরক্ষণশীলতা খুবই অবমাননাকর।'
আরও পড়ুনঃ করোনায় বন্ধ হলো ‘মিশন ইম্পসিবল’ সিনেমার শ্যুটিং
ব্রিটনির বাবা জেমস স্পিয়ার্স বর্তমানে ব্রিটনির সম্পদ এবং তার জীবনের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রণ করছেন।
২০০৮ সালে ব্রিটনি যখন মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তার তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব জেমস স্পিয়ার্সকে দেওয়া হয়।
ব্রিটনির আইনজীবী বলেন, এই মামলা থেকে মুক্তি পেতে ব্রিটনি এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ফাইল আবেদন করেননি।