জীবন
হারিয়ে যাওয়া হারিছ যেভাবে ফিরে এলেন
তিন বছর আগে সাভারের একটি মাদ্রাসার কবরস্থানে ‘মাহমুদুর রহমান’ নামে এক ব্যক্তিকে দাফন করা হয় যার জীবন ও পরিচয় ছিল রহস্যে ঘেরা। তবে আদালতের নির্দেশে সেই ব্যক্তির লাশ তুলে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আজ সেই রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা হলেও তিনিই যে বহু বছরের রহস্যে ঘেরা বিএনপি নেতা আবুল হারিছ চৌধুরী, তা এখন নিশ্চিত।
কবর থেকে তুলে এনে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শুধু একজন মানুষের পরিচয়ই শনাক্ত করা হয়নি, বরং বছরের পর বছর ধরে চলা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এমন একটি গল্প বের করে আনা হয়েছে, দীর্ঘদিন যা মাটির নিচে সমাহিত ছিল।
লাশ উত্তোলন ও ডিএনএ পরীক্ষা
হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৬ অক্টোবর কবর থেকে ‘মাহমুদুর রহমান’ নামের ওই ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরপর লাশের ডিএনএ নমুনা হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরীর ডিএনএর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। পরীক্ষায় দুজনের ডিএনএ মিলে গেলে নিশ্চিত হয়ে যায়, মাহমুদুর রহমান নয়, লাশটি হারিছ চৌধুরীরই ছিল।
এরপর বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ হারিছ চৌধুরীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যথাযথ সম্মান দিয়ে তাকে তার পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী দাফন করার অনুমতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডিএনএ মিলেছে, হারিছ চৌধুরীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের নির্দেশ
সামিরা তানজিন চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী বলেন, আদালতের এই রায় তার পরিবারের জন্য বহুল প্রতীক্ষিত ন্যায়বিচার দিয়েছে।
স্বস্তি প্রকাশ করে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন বলেন, সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ একটি নাটক রচনা করে বাবার মৃত্যুকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। মিডিয়া একটির পর একটি রিপোর্ট করলেও হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। এটি নিয়ে যেন কখনও প্রশ্ন না ওঠে, সেটি নিশ্চিত করার জন্যই এ রিট করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমার বাবার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ থাকবে- সন্তান হিসেবে এটি খুব মর্মান্তিক, কষ্টদায়ক।’ এখনও মানুষ জিজ্ঞেস করে- সত্যিই কি তিনি মারা গেছেন? এ নিয়ে আমাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই বিষয়টি বন্ধের জন্য আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি এবং আজ ন্যায়বিচার হয়েছে।’
রহস্যে ঘেরা এক জীবন
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন হারিছ চৌধুরী। তবে বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। আর তখন থেকেই নিখোঁজ হন এই রাজনীতিক।
সে বছর দেশে জরুরি অবস্থা জারির সপ্তাহখানেক পর স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দর্পনগরে বেড়াতে যান হারিছ চৌধুরী। ওই রাতেই যৌথবাহিনী তার বাড়িতে অভিযান চালায়, তবে তাকে পায়নি।
এরপর কয়েক দিন সিলেটের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থেকে ২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান বিএনপি সরকারের দাপুটে এই নীতিনির্ধারক।
ভারতে গিয়ে তিনি ওঠেন নানার বাড়ি ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরে। এরপর পাকিস্তান হয়ে ইরানে তার ভাই আবদুল মুকিত চৌধুরীর কাছে পৌঁছান- এমন খবরও চাউর হয়। ইরান থেকে তিনি যুক্তরাজ্যে পরিবারের কাছে যান। সেখান থেকে এই বিএনপি নেতা নিয়মিত ভারতে যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্য দেখভাল করতেন বলে বিভিন্ন সময় নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।
স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে নিয়ে হারিছ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে থাকতেন। তার ছেলে জনি চৌধুরী পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার, আর মেয়ে ব্যারিস্টার।
আগে থেকেই হারিছ চৌধুরী ব্ল্যাড ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ২০০২ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে একবার রক্ত পরিবর্তন করে আসেন। দেশ ছাড়ার পর তিনি যুক্তরাজ্যে আরেকবার রক্ত পরিবর্তন করেন বলে জানা যায়।
২০১৫ সালে তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন বলে গুজব ছড়ালেও সে সময় এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মীরাও তার অবস্থান সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।
এরপর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালে যাবজ্জীবন সাজা হয় হারিছ চৌধুরীর। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার সাত বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়। এছাড়া সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় হারিছ চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
‘মাহমুদুর রহমান’ ছদ্মনামে দেশে বসবাস করার একপর্যায়ে ২০২১ সালে তিনি করোনায় আক্রন্ত হন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আক্রান্ত হওয়ার আগে হারিছ চৌধুরী করোনার দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন, এরপরও তিনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তার শরীরের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় এবং পুরো ফুসফুস সংক্রমিত হয়ে পড়ে। ফলে করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও তিনি ফুসফুস জটিলতায় ভূগছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: ডিএনএ পরীক্ষার জন্য বিএনপি নেতা হারিছের লাশ তোলা হয়েছে
মৃত্যুর পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাপে তার পরিচয় গোপন রেখেই সাভারের জালালাবাদ এলাকার একটি মাদ্রাসার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সে সময় তার প্রকৃত পরিচয় অনুযায়ী মৃত্যুসনদও দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে আইনজীবী মাহদীন চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি (হারিছ চৌধুরী) ধানমণ্ডির পান্থপথের একটি বাড়িতে বসবাস করেন। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিনের পর দিন থেকে গেলেও সরকার যে তাকে শনাক্ত করতে পারেনি, এটি ফ্যাসিস্ট সরকারের ব্যর্থতা ছিল। সে কারণেই তার মৃত্যুর পর তারা চায়নি যে হারিছ চৌধুরীর পরিচয় প্রকাশ তাদের ব্যর্থতা সবার সামনে ফুটে উঠুক। সে কারণেই তার পরিচয় গোপন রেখে দাফন করতে বাধ্য করা হয়।
তবে দীর্ঘকাল পর আদালতের নির্দেশে আর প্রযুক্তির সহায়তায় উন্মোচিত হয়েছে হারিছ রহস্য। সেইসঙ্গে তিনি পেয়েছেন পরিচয়, স্বীকৃতি। আর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে তার পরিবার।
ব্যারিস্টার সামিরা বলেন, সত্য সূর্যের মতো। একদিন এ সত্য বের হওয়ারই ছিল। তৎকালীন সরকার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার বাবার প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করেছিল। আজকে আদালতের আদেশের মধ্য দিয়ে আমার বাবার মৃত্যুকে ঘিরে যে হয়রানি ও বিভ্রান্তি ছিল তার অবসান হলো। তাকে সম্মানের সঙ্গে পুনরায় দাফনের সুযোগ করে দেওয়ায় আমরা আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ।
২ সপ্তাহ আগে
নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করলেন সংসদ সদস্য সায়েদুল হক সুমন
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
শনিবার রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেন সুমন। বিষিয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরে বাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদ আলী।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর বাড়ি: দুটি ভিডিও সরাতে ব্যারিস্টার সুমনকে নির্দেশ
জিডিতে সুমন গত ২৭ জুন দিবাগত রাত ২টার দিকে চুনারিঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি কল পাওয়ার কথা জানান।
সুমন লিখেছেন, ওসি তাকে জানান, অজ্ঞাত পরিচয় চার-পাঁচজনের একটি শক্তিশালী দল তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। সুমনকে রাতে বাইরে বের না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন তিনি।
জিডিতে সুমন আরও উল্লেখ করেন, ওই গ্রুপের সদস্যদের পরিচয় জানতে চাইলে ওসি তাদের নাম প্রকাশ করেননি। এ কারণে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির প্রতিবাদ করব, সংসদে নিপীড়িতদের পক্ষে কথা বলব: ব্যারিস্টার সুমন
হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
৫ মাস আগে
দেশে প্রথমবার শিং মাছের জীবনরহস্য উন্মোচন
দেশে প্রথমবারের মতো দেশীয় শিং মাছের জীবন রহস্য বা জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন এবং স্ত্রী-পুরুষ শিং মাছের লিঙ্গ নির্ধারণকারী সম্ভাব্য জিন শনাক্তকরণে সফলতা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসলিমা খানম ও তার গবেষক দল।
লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন শনাক্তকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ শিং মাছ উৎপাদন সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন গবেষক তাসলিমা খানম।
গবেষক তাসলিমা খানম বলেন, জাপান সোসাইটি ফর দি প্রমোশন অব সায়েন্সের অর্থায়নে ২০২২-২০২৪ সালে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে সিকোয়েন্সিং কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তৈরিকৃত ড্রাফট জিনোম ব্যবহার করে সম্ভাব্য লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন সনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে যা যেকোনো দেশীয় মাছের ক্ষেত্রে প্রথম।
এই গবেষণার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু কিছু মাছের ক্ষেত্রে লিঙ্গভেদে স্ত্রী ও পুরুষ মাছের দৈহিক বৃদ্ধির পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। শিং মাছ এর অন্যতম উদাহরণ। যেখানে স্ত্রী শিং মাছের বৃদ্ধি পুরুষ মাছ অপেক্ষা ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি হয়ে থাকে। এই মাছের বাণিজ্যিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তেলাপিয়ার ন্যায় মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদনকে অন্যতম উপায় হিসেবে মনে করা হয়। সফলভাবে মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদনের জন্য লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন সনাক্তকরণ অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: এসএসসিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব সাফল্য, কারিগরির চিত্র উল্টো
এ পর্যায়ে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষায় মনোসেক্স তেলাপিয়ার গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বে মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় শীর্ষ প্রজাতি হল তেলাপিয়া যার সিংহভাগ আসে মনোসেক্স তেলাপিয়া থেকে। শিং মাছের লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন শনাক্তকরণের ফলাফল ব্যবহার করে মনোসেক্স শিং মাছও উৎপাদন করা সম্ভব। যা শিং মাছের বাণিজ্যিক চাষে বিপ্লব ঘটাবে বলে মনে করি।
মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদন সম্পর্কে এই গবেষক আরও বলেন, লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিন শনাক্তের ফলে প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে মার্কার অ্যাসিসটেড সিলেকশনের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি শিং মাছ প্রজননক্ষম হওয়ার অনেক আগেই স্ত্রী ও পুরুষ মাছ শনাক্তকরণ সম্ভবপর হবে যা প্রচলিত সিলেকটিভ ব্রিডিং প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। শিং মাছের জিনোম থেকে শুধুমাত্র লিঙ্গ নির্ধারণকারী জিনই নয়, অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যেমন দৈহিক বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার জন্য দায়ী জিন সনাক্তকরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মানব স্বাস্থ্যে ও অর্থনীতিতে শিং মাছের গুরুত্ব উল্লেখ করে গবেষক তাসলিমা বলেন, উন্নতমানের আমিষ, ক্যালসিয়াম ও আয়রনসমৃদ্ধ, কম কাঁটা ও স্বল্প চর্বিযুক্ত হওয়ায় এই মাছটি পুষ্টি ও ঔষধি গুণাগুণের জন্য বিশেষভাবে সুপরিচিত।
তিনি আরও বলেন, ২০২০-২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী স্বাদুপানির মোট উৎপাদিত মাছের ২ দশমিক ৫২ শতাংশ এসেছে শিং ও মাগুর মাছ থেকে।
প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে স্ত্রী ও পুরুষ মাছ সংগ্রহ করে বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে প্রজননের এর মাধ্যমে মাছের সর্বমোট ৪০টি পরিবার তৈরি করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ৮টি পরিবার টিকে ছিলো এবং তা থেকে ৮০০টি পোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে জানান তিনি।
গবেষণা প্রকল্পটির ফলাফল জাপানিজ সোসাইটি অফ ফিশারিজ সায়েন্স আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তাসলিমা খানমের নেতৃত্বে গবেষক দলে ছিলেন বাংলাদেশ, জাপান ও সুইডেনের একদল গবেষক।
গবেষণার বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, শিং মাছ রোগীর পথ্য হিসেবে পরিচিত। আমরা জানি পুরুষ মাছ সচারচর বেশি শক্তিশালী হয় মেয়ে মাছের তুলনায়। কিন্তু শিং মাছে তার বিপরীত। শিং মাছের ক্ষেত্রে মেয়ে মাছ বেশি শক্তিশালী হয়। মেয়ে মাছগুলো বেশি নির্বাচন করা গেলে বেশি উৎপাদন করানো যাবে। লিঙ্গ নির্ধারণ করার মাধ্যমে সহজেই তা করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: স্মরণশক্তিকে মেধা বলার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
৭ মাস আগে
পেঁয়াজ বীজ চাষে বদলেছে ফরিদপুরের এক দম্পতির জীবন
ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় লাভলী আক্তার ও ইমতিয়াজ মোল্লা দম্পতি পেঁয়াজ বীজ চাষে সাফল্যের বাতিঘর হয়ে উঠেছেন। যা স্থানীয়ভাবে ‘কালো সোনা’ হিসাবে খ্যাত।
ফরিদপুরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার লাভলী আক্তার ও ইমতাজ মোল্লা দম্পতি গত একযুগ ধরে পেঁয়াজ বীজ চাষাবাদ করছেন। মাত্র দুই বিঘা জমিতে চাষাবাদ শুরু করে ৪০ বিঘায় প্রসারিত করেছেন এই দম্পতি। যার ফলে যথেষ্ট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এতে তাদের নিজস্ব জমিতে বহুতল ভবনে যেমন বেড়েছে জৌলুস, তেমনি জীবনযাপনে এসেছে ঊর্ধ্বমুখী পরিবর্তন।
দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে আর চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি মেয়ে নিয়ে এখন তাদের ব্যয়বহুল সংসার। যা এই ‘কালো সোনা’ খ্যাত পেঁয়াজ বীজের বদৌলতে তাদের কাছে ধরা দিয়েছে। প্রতিবছর তারা উপার্জনের টাকায় নিজেদের স্থাবর সম্পত্তিও বাড়াতে পারছেন। নতুন করে কিনছে জায়গা-জমি।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্ডে ব্যয়করকে যৌক্তিক করতে চায় সরকার
লাভলী আক্তার বলেন, বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে এসে দেখি শ্বশুর বাড়ির লোকেরা পেঁয়াজ বীজের চাষ করছেন। তিনিও পুরোদস্তর স্বামীকে সহায়তায় নেমে পড়েন। এতে প্রথম বছরেই ভালো আয় হয় তাদের। এরপর আর থেমে থাকেননি তাদের সমৃদ্ধির যাত্রা।
তিনি আরও বলেন, আমি এই বীজের টাকা দিয়ে ৭৫ লাখ টাকা খরচ করে বাড়িতে বিল্ডিং দিয়েছি। প্রতিবছরই নতুন জমি কিনছি। এক সময় যা ছিল অকল্পনীয়, এখন তাই বাস্তব আমাদের কাছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার তারা বিঘা প্রতি দুই থেকে আড়াই মণ পেঁয়াজ বীজ পাবেন বলে আশা করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে এই বীজের আবাদ করতে এক লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়। সেই হিসাবে সবমিলিয়ে তাদের এবার প্রায় কোটি টাকার মতো লাভ থাকবে বলে তারা আশা করছেন।
আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক বেশি দাম, ক্রেতা নেই কেরাণীগঞ্জের পাইকারি কাপড় বাজারে
৯ মাস আগে
‘জীবন’ হবে বিটিসিএলের লাইফ লাইন: পলক
প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক ‘জীবন (GBon)’ বিটিসিএলের লাইফ লাইন হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে বিটিসিএলকে বাঁচিয়ে রাখা, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করতে জীবন ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন থেকে জীবন সেবার উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
তিনি আরও বলেন, এরই পথ বেয়ে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলায় তিন হাজার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার বনশ্রী এলাকার চার হাজার, বাবু বাজার এলাকায় ছয় হাজার, উত্তরা এলাকায় ১৮ হাজার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এক হাজার, জাপান গার্ডেন সিটি এলাকায় ১০ হাজার, শেরে বাংলানগর এলাকায় ১৬ হাজার, রমনা এলাকায় ১২ হাজার, খিলগাঁও এলাকায় আট হাজার, নীলক্ষেত এলাকায় ১৪ হাজার, মিরপুর এলাকায় ১৫ হাজার, গুলশান এলাকায় ১০ হাজার, গেন্ডারিয়া এলাকায় তিন হাজার, যাত্রাবাড়ী এলাকায় তি হাজার, দিয়াবাড়ী এলাকায় ছয় হাজার, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় আট হাজার, মগবাজার এলাকায় ২০ হাজার, বারিধারা এলাকায় ছয় হাজার এবং মুন্সীগঞ্জ জেলায় তিন হাজার ৬০০, গাজীপুর জেলায় চার হাজার, নরসিংদী জেলায় দুই হাজার ৩০০, মানিকগঞ্জ জেলায় তিন হাজার, টাঙ্গাইল জেলায় তিন হাজার, রাজবাড়ী জেলায় দুই হাজার ৩০০, শরিয়তপুর জেলায় তিন হাজার, ফরিদপুর জেলায় তিন হাজার, মাদারীপুর জেলায় তিন হাজার, কিশোরগঞ্জ জেলায় তিন হাজার ৬০০ সক্ষমতা সম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ সেবা জীবন।
এদিকে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করল ঢাকা বিভাগ।
এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিমন্ত্রী ভাষা শহিদদের স্মরণে বিটিসিএলের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ ‘জীবনের’ বিশেষ সাশ্রয়ী প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
এর আওতায় পাঁচ এমবিপিএসের বিদ্যমান মূল্যে ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে, ৩৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এখন সাশ্রয়ী এই প্যাকেজের আওতায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউডথ পাওয়া যাবে ৫০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা
৯ মাস আগে
সবার জীবনকে অর্থবহ করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী
জনগণকে তার সরকারের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনকে অর্থবহ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যেকের জীবনকে অর্থবহ করতে চাই এবং এইভাবে আমার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পূর্ণ করে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে চাই।’
বৃহস্পতিবার বহুল প্রত্যাশিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পেনশন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
অংশগ্রহণকারী ও সুবিধাভোগীরা তিনটি জেলা-গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট এবং রংপুর এবং সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে যুক্ত ছিলেন।
দেশের ১৮ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিককে পেনশন সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেল অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারে: বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক
তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা তার শক্তির উৎস। ‘সুতরাং, এই বিশ্বাস এবং আস্থা রাখুন। আমি আপনার কাছ থেকে এটা চাই।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে অনেক আঘাতের সম্মুখীন হতে হয়েছে -- কোভিড-১৯ মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধের আঘাত, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা এবং বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সেইসঙ্গে অগ্নিসংযোগ সহিংসতা।
তিনি বলেন, যেহেতু জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে, তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি এবং মানবসৃষ্ট দুর্যোগ সবকিছু মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
সর্বজনীন পেনশন প্রকল্পকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, তার সরকার এমনকি তৃণমূল ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধনের দিনটি সত্যিই বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। তিনি বলেন, দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
অংশগ্রহণকারী নাগরিকদের জন্য আজীবন পেনশন সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সর্বজনীন পেনশন প্রকল্পের অধীনে মোট ছয়টি পরিকল্পিত প্যাকেজের মধ্যে প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা এবং প্রবাসী নামে চারটি প্যাকেজ প্রাথমিকভাবে চালু করা হলো।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিদেশি শক্তি: প্রধানমন্ত্রী
প্রগতি প্যাকেজ বেসরকারি চাকরিজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করবে, অন্যদিকে সুরক্ষা স্ব-কর্মসংস্থান ব্যক্তিদের জন্য, নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য সমতা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাসী প্যাকেজ গঠন করা হয়েছে। আর বাকি দুটি প্যাকেজ পরে চালু করা হবে।
১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো নাগরিক ৬০ বছর বয়সে না পৌঁছানো পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধ করে অবসর জীবনের সময় পেনশন সুবিধা পেতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
৫০ বছরেরও বেশি বয়সী একজন ব্যক্তি এই স্কিমে যোগ দিতে পারেন তবে ব্যক্তিকে একটানা ১০ বছর ধরে কিস্তি দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।
অনুষ্ঠানে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
জন্মদিনে ফিরে দেখা: আইসিসির টুর্নামেন্টে শচীন টেন্ডুলকারের আইকনিক ১০টি মুহূর্ত
আজ জীবনের অর্ধশতক পূর্ণ করলেন ক্রিকেটের ঈশ্বরখ্যাত কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী আসুন ৫০ তম জন্মদিন উপলক্ষে 'মাস্টার ব্লাস্টার' শচীনের আইকনিক কিছু মুহূর্ত ফিরে দেখি-
১৯৯২ বিশ্বকাপ: পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৪ রান
১৯৯২ সালে ১৮ বছর বয়সী টেন্ডুলকার তার প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫৪ রান করে প্রথমবারেই তিনি তার জাত চিনিয়েছিলেন।
তার স্কোর ওই ম্যাচে ভারতকে ৫০ ওভারে ২১৬/৭ পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল। পাকিস্তান সেদিন ভারতের কাছে ৪৩ রানে হেরে যায়।
১৯৯২ বিশ্বকাপ: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৪ রান
অজয় জাদেজা চোট পেয়ে অবসর নিতে বাধ্য হওয়ার পর ১০৭ বলে ৮৪ রানের এব দৃর্দান্ত ইনিংস খেলেন শচীন। ওই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৩০/৬ রান করে ভারত।
ম্যাচে শচীন তার দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন; তবে ভারত ম্যাচটি হেরে যায়।
এছাড়া শচীন তার অভিষেক বিশ্বকাপে সাত ইনিংসে তিনটি অর্ধশতক এবং ৪৭ দশমিক ১৬ গড়ে ২৮৩ রান করেছিলেন।
১৯৯৬ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯০ রান
অজিদের বিরুদ্ধে ২৫৯ রান তাড়া করতে গিয়ে ভারত ৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পরে টেন্ডুলকার দলের পক্ষে মজবুত দেয়ালের ভূমিকা রাখেন।
সেদিন ৮৪ বলে ১৪ চার ও একটি ছক্কায় ৯০ রান করেছিলেন তিনি। এছাড়া গ্লেন ম্যাকগ্রা ও শেন ওয়ার্নের মতো বিশ্বমানের বোলারদের তিনি ঘাম ছুটিয়েছিলেন।
কিন্তু মিডল অর্ডার টিকে থাকতে ব্যর্থ হয় এবং ভারত ১৬ রানে হেরে যায়।
১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অলরাউন্ডার পারফরম্যান্স
প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেতে নেমে লিটল মাস্টার অজিদের বিপক্ষে মাত্র ১২৮ বলে ১৩টি চার ও তিনটি ছক্কায় ১৪১ রান করে ভারতকে ৩০৭/৮ পৌঁছে দেন।
এছাড়া তিনি স্টিভ ওয়া, মাইকেল বেভান এবং ড্যামিয়েন মার্টিনের মতো খেলোয়ারদের রীতিমতো নাস্তানাবুদ করেন।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ: কেনিয়ার বিপক্ষে ১৪০ রান
বাবার মৃত্যুর কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ম্যাচ মিস করার পর টেন্ডুলকার ১০১ বলে ১৬ চার এবং তিনটি ছক্কায় ১৪০ রান করেন।
তার রান ভারতকে ৩২৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিততে সাহায্য করে। টুর্নামেন্টে পরপর দুইটি হারের পর এ জয় তাদের আশার আলো দেখায়।
আরও পড়ুন: 'সবচেয়ে ধনী টি-টোয়েন্টি লিগ' চালু করার পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব
১ বছর আগে
আরও জীবন বাঁচাতে আগামী দুই-এক দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: তুর্কি রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেছেন যে তার দেশ দুটি ভূমিকম্প এবং বহু আফটারশকের আঘাতের পর বিশাল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে আরও জীবন বাঁচাতে আগামী এক দুই দিন হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত তুরান বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো নাগরিক আক্রান্ত হননি।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে আজ
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত একজন প্রাক্তন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত (সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত) যিনি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোর একটিতে নিযুক্ত ছিলেন এবং তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
তার দ্রুত উদ্ধারের জন্য দোয়া চেয়ে রাষ্ট্রদূত তুরান বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, তার সম্পর্কে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই।,
তুর্কি রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা নগদ সহায়তা পেতে আগ্রহী নন তবে শীতবস্ত্র, ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণ বাংলাদেশ থেকে পেতে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার গত সন্ধ্যায় একটি সামরিক বিমানের মাধ্যমে একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে এবং বৃহস্পতিবার সমস্ত সরকারি দপ্তরসমূহে পতাকা অর্ধনমিত রেখে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটি একটি ঘটনা যা আমরা ভুলব না। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন ও সংহতি রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প: তুরস্ক, সিরিয়ায় নিহত ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে
১ বছর আগে
জীবনের কথায় শুভ ও মিথিলার ‘ভালোবাসো যদি’
দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে গান দিয়ে শ্রোতাদের মাতিয়ে রেখেছেন সঙ্গীতশিল্পী কাজী শুভ। নতুন গান তৈরি ও স্টেজ শো নিয়েই চলছে তার নিয়মিত ব্যস্ততা। সম্প্রতি মুক্তি পেল নতুন আরও একটি গান।
‘ভালোবাসো যদি’ শিরোনামে গানটিতে কাজী শুভর সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী মিথিলা মিলন। রবিউল ইসলাম জীবনের কথায় গানটির সুর করেছেন কাজী শুভ। সঙ্গীতায়োজন করেছেন রাফি মোহাম্মদ।
শনিবার (৫ নভেম্বর) ম্যাক্সব্যাগ এন্টারটেইনমেন্ট ইউটিউব চ্যানেলে গানটি মুক্তি পেয়েছে। এর ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৌমিত্র ঘোষ ইমন। এতে অভিনয় করেছেন তন্ময় ও চিত্রালী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রশংসিত ‘নদীরক্স’
গান প্রসঙ্গে কণ্ঠশিল্পী কাজী শুভ বলেন, ‘প্রতিটি গান আসলে ভালোলাগা থেকেই করা। জীবন ভাইয়ের কথা বরাবরই দারুণ লাগে। আমার সুর ও রাফি মোহাম্মদের সঙ্গীতায়োজনে চেষ্টা করেছি আলাদা কিছু একটা করতে। বাকিটা শ্রোতারা ভালো বলতে পারবেন। আর আমার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে মিথিলাও বেশ ভালো গেয়েছেন।’
কাজী শুভ তার অন্যান্য কাজের পাশাপাশি গান প্রকাশ করছেন নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে। সম্প্রতি সেখানেও নতুন একটি গান প্রকাশ হয়েছে। ‘ভাইঙ্গা দিলা বিশ্বাসের ঘর’ শিরোনামে গানটি লিখেছেন আর এক আশরাফুল, সুর ও সঙ্গীতায়োজনে রয়েছেন আহমেদ সজীব।
আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর অ্যালবাম নিয়ে এলো ‘ব্যান্ড স্টোন’
কবীর সুমনের সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে গাইবেন আসিফ
২ বছর আগে
স্বাভাবিক জীবনের অপেক্ষায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা
আসছে ২৫ আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর আন্তর্জাতিক সীমানা পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পাঁচ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস এন্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিস এর উদ্যোগে বাংলাদেশে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী (রোহিঙ্গা) সমস্যা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের জুন ২০২২ এর হিসাবে বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৩ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম এই শরণার্থী ক্যাম্পের মানুষগুলো দৈনন্দিন ও দীর্ঘমেয়াদি সকল প্রয়োজন মেটাতে মানবিক সাহায্যের ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল।
এই মানবিক সংকট নিরসনে বাংলাদেশ সরকার শুরুতেই বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে তাদের নীতিমালা অনুযায়ী সরকারের সহায়ক হয়ে এই সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানায়। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি)’র সহায়তায় এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে কক্সবাজারে পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন (পিএমও) নামে একটি আন্তর্জাতিক অপারেশন যাত্রা শুরু করে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব, কাজী শফিকুল আজম বলেন:‘সংকটটি ইতোমধ্যেই একটি জটিল ও দীর্ঘায়িত বাস্তুচ্যুতি সংকটে পরিণত হয়েছে। এজন্য, শরণার্থী ক্যাম্প ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে বর্তমানে চলমান কার্যক্রম সমন্বয় করে একটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিৎ। আমরা এই সঙ্কট নিরসনের জন্য প্রতিশ্রুতি ও সহায়তার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সহায়তা চায় ইউএনএইচসিআর
ক্যাম্পের মোট জনগণের ৫১ শতাংশই শিশু এবং প্রায় ৫২ শতাংশ নারী ও কিশোরী। প্রতি তিনটি পরিবারের মধ্যে একটির সদস্যরা সহজেই মানব পাচার, বাল্যবিয়ে, যৌন শোষণ ও নিপীড়ন ইত্যাদির শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
ক্যাম্পে বাস্তবায়িত বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন-স্বল্পমেয়াদী আশ্রয়কেন্দ্র, টেকসই আবাসন, সৌরচালিত পানি সঞ্চালন নেটওয়ার্ক, দুর্যোগ নিরসনসহ গৃহীত স্থায়িত্বশীল উদ্যোগ অনেক মানুষের জীবন রক্ষা করেছে।
আইএফআরসি-র এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক পরিচালক, আলেকজান্ডার ম্যাথিউ বলেন, ‘ক্যাম্পে বাইরে থেকে যা দৃশ্যমান, তা গত পাঁচ বছরের অনেক উদ্যোগের ফলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমরা বাংলাদেশ সরকারসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থাকে তাদের এই অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু যা দৃশ্যমান নয় অথচ ক্যাম্পে বসবাসরত মানুষের জীবনে ঘটে চলেছে, তা হচ্ছে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, তাদের কোনো কাজ বা চলাফেরার স্বাধীনতা নেই, বরং কম হলেও অনিবার্যভাবে আছে বিষন্নতা, পাচার, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতাসহ অন্যান্য সহিংসতার শিকার হবার ঝুঁকি। যেহেতু কোন স্থায়ী সমাধান এখনও নিশ্চিত নয়, মানবিক সহায়তা হিসেবে জীবন রক্ষাকারী উদ্যোগের পাশাপাশি বিনোদন এবং সুরক্ষা ব্যবস্থার উপরও জোর দেওয়া দরকার।’
পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে কক্সবাজারের ভৌগলিক অবস্থানের জন্য, যা অতিমাত্রায় ঘূর্ণিঝড় প্রবণ। এই এলাকা হরহামেশাই জলোচ্ছ্বাস, বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়সহ ভারি বর্ষণের শিকার হয় যার ফলে ভূমিধ্বস, জলাবদ্ধতা, ঘরবাড়ির ক্ষতি, ঘনঘন আগুন, মহামারি যেমন কলেরা, ডেঙ্গু, এবং ডিপথেরিয়াসহ বিভিন্ন দুর্যোগ এই এলাকার নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে উঠেছে। তার উপর ক্যাম্পের ঘনবসতির কারণে কলেরা ও কোভিড মাঝে মাঝেই অতিমারির আকার ধারণ করে।
আইএফআরসি, বাংলাদেশ ডেলিগেশনের প্রধান সঞ্জিব কাফলে বলেন, ‘এই সংকট আইএফআরসি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং দুরূহ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম। গত পাঁচ বছর ধরে ক্যাম্পে সুরক্ষাসহ যাবতীয় মানবিক সহায়তা প্রদানে, আইএফআরসি ও তার সহযোগী ন্যাশনাল সোসাইটিগুলো বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টকে সহায়তা করে আসছে। কোভিড-১৯ এর অভিজ্ঞতার আলোকে, আইএফআরসি এখন প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতির উপর কাজ করছে। তাই কক্সবাজারের বাস্তুচ্যুত এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে আইএফআরসি'র বর্তমান কৌশল হচ্ছে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত কম্যুনিটিতে সমন্বিত কম্যুনিটি সহনশীলতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকরন এবং কার্যকর দুর্যোগ সাড়াদান ইত্যাদিতে মনোযোগ বৃদ্ধি।’
আইএফআরসি এবং অন্যান্য সহযোগী ন্যাশনাল সোসাইটির যৌথ সহযোগিতায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এই জরুরি মানবিক প্রয়োজন মেটাতে ও তা বৃদ্ধিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আশ্রয়, স্বাস্থ্য ও মনোসামাজিক সহায়তা, ওয়াশ, জীবিকায়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে লক্ষ মানুষের জীবন রক্ষার মানবিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে। সেই সাথে সুরক্ষা, জেন্ডার ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অন্তর্ভুক্তিকরণ, জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করা এবং জবাবদিহিতা ইত্যাদিকে মূলধারায় নিয়ে আসার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সহায়তা চায় ইউএনএইচসিআর
দিল্লিতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে ভারত
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইইউর সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
২ বছর আগে