কোরবানি ঈদে মুক্তি পাওয়া অনন্ত জলিল অভিনীত 'দিন: দ্য ডে' নিয়ে বিতর্কের জল সিনেমার বাজেট নিয়ে মিথ্যাচারে এসেছে পৌঁছেছে। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ-ইরানের যৌথ প্রয়োজনায় সিনেমাটির পরিচালক ও মূল প্রযোজক মুর্তজা অতাশ জমজম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি সামনে আনেন।
জানা যায়, সিনেমার বাজেট শত কোটি নয়। ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। এছাড়াও মুর্তজা শর্ত নিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন। তবে তা সবই অস্বীকার করেছেন অনন্ত জলিল। এই চিত্রনায়ক ও প্রযোজক বিষয়টি নিয়ে তার ফেসবুক পেজে বিস্তারিত জানান।
এবার অনন্ত জলিল দিলেন ভিডিও বার্তা। যেটি শনিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন।
ভিডিও বার্তায় অনন্ত জলিল বলেন, ‘সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০১৯ সালে। শেষ হয় ২০২০ সালের মধ্যে। আপনারা আমার ইন্টারভিউগুলো দেখতে পারেন। টেলিভিশন, নিউজ পেপার, সোশ্যাল মিডিয়াতেও মুভিটির রিলিজের আগমুহূর্ত পর্যন্ত ও রিলিজের পরে ইন্টারভিউতে দেখাতে পারবেন যে, আমি বলেছি-এ মুভিটির ইনভেস্টার শুধুই আমি? আমি সবসময় বলে এসেছি, শুধুমাত্র বাংলাদেশের শুটিংয়ের ইনভেস্টার আমি।’
তিনি বলেন, ২০২১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি লা-মেরিডিয়ান হোটেলে ‘দিন: দ্য ডে’ ও ‘নেত্রী দ্য লিডার’ মুভির একটি অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে মিস্টার মুর্তজা, ইরানের অভিনেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। সেসময় মুর্তজা আমাকে বলেন, শুটিংয়ের জন্য তিনি যে বাজেট নির্ধারণ করেছিলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ শুটিংয়ে খরচ করেন। মুর্তজার বলা অ্যামাউন্টটাই অনুষ্ঠানে আমি বলি। আমার ইন্টারভিউগুলোতেও একই কথা বলি। তিনি মুভির যে বাজেটের কথা বলেছিলেন।’
পড়ুন: দিন- দ্য ডে: ৪ কোটির সিনেমা ১২০ কোটি বলে প্রচার
অনন্ত জলিল আরও বলেন, ‘মুর্তজা তুলে ধরেছেন, আমার ৪-৫ লাখ ডলার তাকে শুটিং খরচের জন্য দেয়ার কথা। অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী সম্পূর্ণ টাকা দেইনি। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের শুটিংয়ে সমস্ত খরচ আমার দেয়ার কথা। সে অনুযায়ী বাংলাদেশের শুটিংয়ের সমস্ত খরচ আমি বহন করি। সেখানে এক কোটি টাকা লাগলো বা চার কোটি টাকা লাগলো সেটা তো মুর্তজার দেখার বিষয় না।’
চুক্তিপত্র অনুযায়ী সব খরচ দিয়েছেন দাবি করে অনন্ত জলিল বলেন, ‘বাংলাদেশের শুটিং খরচ ছাড়া বিদেশের কোনো শুটিং খরচই আমার দেয়ার কথা না। আমাদের ট্রাভেলিং কস্ট ছাড়া, এয়ার টিকিট ছাড়া সেখানে আমি তাকে ডলার দেব এটার প্রশ্ন উঠবেই বা কেন? তাহলে মুর্তজা এতগুলো দেশে যে শুটিং করলো, তাতে তো তার কোনো টাকাই খরচ হয়নি। তিনি যে অ্যামাউন্ট বলেছেন, আমার দেয়ার কথা সেটাই। তাহলে তিনি কীভাবে বলেন তার পোস্টে যে, আমি তাকে অ্যাগ্রিমেন্ট (চুক্তি) অনুযায়ী টাকা দেইনি। আপনারা তো ফলাও করে প্রচার করছেন মুভির বাজেট চার কোটি। তাহলে তো মুর্তজার শুটিংয়ে কোনো টাকাই খরচ করেননি’
অনন্ত জলিল আরও বলেন, ‘ইরানে মুভি রিলিজে সময় ডলবি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয় না। তাদের পোস্ট প্রোডাকশন এমনিতেই বেশ উন্নত। মুভি রিলিজের আগ পর্যন্ত আমার ও মুর্তজার সঙ্গে কখনই কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। আমি আশা করি, আগামীতেও থাকবে না। যাদের স্বার্থের জন্য তিনি এটা করেছেন, তাদের মুখোশ একদিন ঠিকই মিস্টার মুর্তজা প্রকাশ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’
পড়ুন: অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন ‘দিন: দ্য ডে’র পরিচালক