টেলিভিশনে দীর্ঘ সময় ধরে প্রচারিত ‘মার্ডার শি রোট’ সিরিজের অভিনেতা অ্যাঞ্জেলা ল্যান্সবেরি ৯৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। এই জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিজে তিনি একজন অপরাধবিষয়ক উপন্যাসিকের ভূমিকায় থেকে অসংখ্য হত্যা জটের সমাধান করেছেন।
ল্যান্সবারি মঙ্গলবার লস অ্যাঞ্জেলেসে তার বাড়িতে মারা যান। তার তিন সন্তানের একজন বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি তার ৯৭তম জন্মদিনের ঠিক পাঁচ দিন আগে মারা গিয়েছেন।
ল্যান্সবারির ঝুড়িতে আছে ৭৫ বছরের দীর্ঘ এক কর্মজীবন। এই কর্মজীবনে অসংখ্য জনপ্রিয় গান দিয়ে মঞ্চ মাতিয়েছেন, ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’ অ্যানিমেশন সিনেমার থিম গানটি গেয়েছেন, পেয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ থেকে ‘ডেম’ সম্মাননাসূচক উপাধি এবং ছিলেন দীর্ঘ সময়ের জনপ্রিয় টেলিভিশন চরিত্রে।
ল্যান্সবারি তার ব্রডওয়ে পরিবেশনার জন্য পাঁচটি টনি পুরস্কার এবং একটি আজীবন সম্মাননা পুরস্কার জিতেছেন। তিনি তার প্রথম তিনটি চলচ্চিত্রের মধ্যে দুটি ‘গ্যাসলাইট’ (১৯৪৫) ও ‘দ্য পিকচার অব ডোরিয়ান গ্রে’ (১৯৪৬) এর জন্য সহায়ক অভিনেতা হিসেবে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন অর্জন করেন এবং ১৯৬২ সালে আবার ‘দ্য মাঞ্চুরিয়ান ক্যান্ডিডেট’ সিনেমায় একজন কমিউনিস্ট এজেন্ট হিসেবে মারাত্মক চিত্রায়ন ও প্রধান চরিত্রের মার ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য মনোনীত হন।
আরও পড়ুন: ইডি’র মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
মজার বিষয় হচ্ছে, তার পরিণত আচরণের জন্য প্রযোজকরা তাকে বেশি বয়সের চরিত্রে অভিনয় করাতেন। ১৯৪৮ সালে যখন তার বয়স ছিল ২৩, তখন তার চুল ধূসর রঙের করা হয়েছিল যাতে তিনি ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’ এ একজন চল্লিশ বছরের সংবাদপত্র প্রকাশকের ভূমিকা পালন করতে পারেন।
তার গৌরবময় খ্যাতি মধ্য বয়সেই এসেছিল। তিনি নিউইয়র্ক থিয়েটারের হিট হয়েছিলেন এবং ‘ম্যাম’ (১৯৬৬), ‘ডিয়ার ওয়ার্ল্ড’ (১৯৬৯), ‘জিপসি’ (১৯৭৫) ও ‘সুইনি টড’ (১৯৭৯) এর জন্য টনি অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন। .
১৯২৫ সালের ১৬ অক্টোবর লন্ডনে জন্মগ্রহণ করার সময় তাকে অ্যাঞ্জেলা ব্রিগিড ল্যান্সবারি নাম দেয়া হয়। তার পরিবার সেসময় পরিচিত ছিল। তাদের পরিবারে ছিলেন-একজন দাদা যিনি লেবার পার্টির প্রধান, তার বাবা একটি কারখানার মালিক ও তার মা (ময়না ম্যাকগিল) একজন সফল অভিনেতা।
১৯৪০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ১৯৩০ এর দশকের একজন প্রাণবন্ত তরুণ তারকা রিচার্ড ক্রমওয়েলের সঙ্গে ল্যান্সবারির নয় মাস স্থায়ী বিয়ে হয়েছিল। ১৯৪৯ সালে তিনি পিটার শকে বিয়ে করেছিলেন। তিনি একজন ব্রিটিশ নাগরিক। পিটার এমজিএম এর সঙ্গে অভিনয়ের চুক্তিতে ছিলেন এবং পরে একজন স্টুডিও নির্বাহী ও এজেন্ট হন। পরবর্তীতে তিনি ল্যান্সবারির ম্যানেজারের ভূমিকা গ্রহণ করেন। তাদের দুটি সন্তান ছিল এবং আগের বিয়েতে তার একটি ছেলে ছিল।
পিটার শ ২০০৩ সালে মারা যান।
আরও পড়ুন: আম্পায়ার আসাদ রউফ মারা গেছেন