বাঁশের তৈরি সাঁকোর ওপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ, গর্ভবতী নারী, অসুস্থ রোগী ও বৃদ্ধরা যাতায়াত করেন।
কমলগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড করিমপুর গোপালনগর খেয়াঘাট হয়ে সদর ইউনিয়নের সাথে এই সড়কের যোগাযোগ। মধ্য জায়গায় বড় বাধা হচ্ছে ধলাই নদী। রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকটে এই বাঁশের সাঁকোটির অবস্থান।
যার ফলে ইউনিয়ন হতে পৌরসভায় এবং পৌরসভা হতে ইউনিয়নে যেতে হলে এ সাঁকো ব্যবহার ছাড়া পৌঁছা সম্ভব নয়। এছাড়াও মৌলভীবাজার জেলা সদরে যেতে হলে ৬ থেকে ৯ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে।
সরইবাড়ী, রামপুর, রামপাশা, ছাইয়াখালি, চৈতন্যগঞ্জ, নারায়ণপুর, বনগাঁও, বাদে উবাহাটা গ্রামগুলো ছাড়াও আরও ১০ থেকে ২০টি গ্রামের লোকজন এ সাঁকোটি ব্যবহার করেন। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি নির্মাণ হলে প্রায় ২৫টি গ্রামের লোকের যাতায়াতের পথ সুগম হবে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে খেয়াঘাটে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও দাবিটি বার বারই উপেক্ষিত।
স্থানীয়রা জানান, বাজারের সদাই, দোকানির মাল, কৃষি যন্ত্রপাতি পারাপারে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
কমলগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা দেওয়ান আব্দুর রহিম মুহিন বলেন, এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।
কমলগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, এ স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। এখানে একটি সেতু বা ব্রিজ নির্মাণ করা হলে কমলগঞ্জ পৌরসভার সাথে সদর ইউনিয়নের যোগাযোগের একটি সেতু বন্ধন তৈরি হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কমলগঞ্জ উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মামুন আহমদ জানান, জনস্বার্থে এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা খুবই জরুরি। বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।