ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যকর অনুশীলন:
হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন। আপনার ব্যবহৃত টিস্যুটি অন্য একটি পরিষ্কার টিস্যু পেপারের সাথে মুড়িয়ে রাখুন এবং এগুলো ডাস্টবিনে ফেলুন।
সাবান ও পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুয়ে ফেলুন বা অ্যালকোহলযুক্ত (ন্যুনতম ৬০ শতাংশ) হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
একসাথে বসে খাওয়ার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই মানুষ থেকে মানুষে এ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে একসাথে বসে খাওয়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। আর যদি সেটি সম্ভব না হয় তাহলে, খাবার পরিবেশনের সময় চামচ ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতির অবনতি হলে কিছু এলাকা লকডাউন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের সংক্রমণ রোধে টয়লেটগুলো পরিষ্কার এবং শুকনো রাখুন।
লিফটের বোতাম, দরজার হ্যান্ডল বা কলিং বেলের মতো সাধারণ জায়গাগুলো ব্যবহার করার পর ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলুন। ঘরে বসে হ্যান্ড স্যানিটাইজিংয়ের পাশাপাশি, গণপরিবহন বা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের সময়ও সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
আপনি যদি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১০) কোনো লক্ষণ (জ্বর, হাঁচি, কাশি, গলাব্যথা বা শ্বাসকষ্ট) অনুভব করেন তাহলে ১৪ দিনের জন্য নিজ থেকেই আইসোলেশনে চলে যান।
সামাজিক স্বাস্থ্যকর অনুশীলন:
জনসমাগম বেশি এমন স্থানে হাঁচি বা কাশি দেয়ার আগে মুখ ঢাকার জন্য টিস্যু ব্যবহার করুন। আপনার কাছে যদি টিস্যু না থাকে তাহলে কনুই দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে নেয়ার চেষ্টা করুন।
হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় ব্যবহৃত টিস্যু যেখানে সেখানে ফেলবেন না।
আপনার অফিস, আবাসিক ভবনের নিচতলা/প্রধান প্রবেশদ্বার অথবা গার্ডরুমে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন এবং নিশ্চিত করুন যে, কেউ যেন হাত পরিষ্কার না করে ভবনে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন
যানবাহনের (গাড়ি/মোটরসাইকেল) পাশেই স্বাস্থ্যকর অনুশীলনের সুবিধার্থে সাধারণ মানুষের জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখুন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দিনে অন্তত তিনবার ঘরের মেঝে, রান্নাঘর, টয়লেট, সিঁড়ির রেলিং ইত্যাদি জায়গাগুলো জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন।
জীবাণু ছড়ানো প্রতিরোধে প্রতিদিন কমপক্ষে তিনবার অফিস, বাণিজ্যিক ভবন ও বাজারের টেবিলগুলো এবং অন্যান্য ধাতব বস্তু যেমন- দরজার লক, লিফটের বোতাম ইত্যাদি জায়গাগুলো পরিষ্কার করুন।
কর্মকর্তা, প্রহরীসহ অন্যান্য কর্মীদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। কোনো সদস্য যদি জ্বর, হাঁচি-কাশি, গলাব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মতো করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ অনুভব করে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা সহায়তা নিন।
যদি কোনো ব্যক্তি বিদেশ থেকে ফিরে থাকে, বিশেষ করে চীন, ইরান, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুর থেকে, তাহলে তাদের ন্যূনতম ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে সহায়তা করুন।
প্রতিরোধমূলক কিছু ব্যবস্থা:
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন গ্রহণ করুন।
বাড়িতে বা বাইরে থাকাকালীন হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং পরিস্কার টিস্যুর মতো প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সরঞ্জাম বহন করুন।
আরও পড়ুন: ষাট গম্বুজ মসজিদ ও সুন্দরবনের পর্যটন এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
আপনার যদি জ্বর, হাঁচি-কাশি, গলাব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মতো করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে আইইডিসিআর’র হেল্পলাইন নম্বরে কল করুন চিকিৎসা সহায়তা বা পরামর্শের জন্য। আইইডিসিআর’র হেল্পলাইন নম্বরগুলো হলো-
01401184551, 01401184554, 01401184555, 01401184556, 01401184559, 01401184560, 01401184563, 01401184568, 01927711784, 01927711785, 01937000011 and 01937110011
বর্তমানে যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তারাসহ বিদেশ ফেরত যেকোনো ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও’র পেজ ভিজিট করতে এই লিংকটিতে link ক্লিক করুন।