জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩ উপজেলার মধ্যে নয়টিতে সাড়ে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে উফশী, হাইব্রিড ও স্থানীয় জাতের রোপা আমনের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে হোসেনপুর উপজেলায় উফশীর ৫ হাজার ১৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১৫ হেক্টর জমিতে ৯৭ হাজার ১৪ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সদর উপজেলায় উফশী ৬ হাজার ৭৫ ও হাইব্রিড ২৫, পাকুন্দিয়ায় উফশী ৩ হাজার ৬৩৫ ও হাইব্রিড ৪, কটিয়াদীতে উফশী ৩ হাজার ৩৪০ ও হাইব্রিড ৮০, করিমগঞ্জে উফশী ২ হাজার ৩১০, তাড়াইলে উফশী ২০, বাজিতপুরে উফশী ৬৫০, কুলিয়ারচরে উফশী ৩৮০ ও ভৈরব উপজেলায় উফশী ৯৫০ হেক্টর জমিতে চাষা করা হয়েছে।
ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও নিকলী উপজেলার জমি জলমগ্ন থাকায় সেখানে আমন আবাদ হয় না।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মতিউর রহমান জানান, প্রতি হেক্টরে উফশী ৪ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন, হাইব্রিড ৪ দশমিক ৯১ মেট্রিক টন ও স্থানীয় জাত ২ মেট্রিক টন করে উৎপন্ন হয়। এ বছর জেলায় হাইব্রিড ১ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন, উফশী ৯৫ হাজার ৯৪ মেট্রিক টন ও স্থানীয় জাতে ৩০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে আশা করা যায়।