২০১০ সালের জেএসসি পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু হলেও শুধুমাত্র ওই বছর কোনো পরীক্ষার্থী ঝরে পড়েনি। এরপর থেকে প্রতি বছর শিক্ষার্থী ঝরতে থাকে।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পরবর্তীতে ২০১১ সালে বোর্ডের ১ হাজার ৭৩৪টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৮০ হাজার ৪শ’ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। ১ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৬ পরীক্ষা অংশ নেয় এবং ঝরে পড়ে ১১ হাজার ৫২৪ জন।
২০১২ সালে ১ হাজার ৭৪০টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৯২ হাজার ১৩১ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৬১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং ঝরে পড়ে ১৩ হাজার ৮৭০ জন।
২০১৩ সালে ১ হাজার ৭৫৯টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৩৫৬ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৮৮ হাজার ৪৯২ জন এবং ঝরে পড়ে ১১ হাজার ৮৬৪ শিক্ষার্থী।
২০১৪ সালে ১ হাজার ৭৭৮টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮১ জন রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৭ জন এবং ঝরে পড়ে ২৪ হাজার ১৩৪ জন।
২০১৫ সালে ১ হাজার ৯৩৮টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯০ জন রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫ জন এবং ঝরে পড়ে ১২ হাজার ৯৮৫ জন।
২০১৬ সালে ১ হাজার ৮৭০টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৫০ হাজার ২৮ এর মধ্যে ১২ হাজার ৪৬০ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে।
২০১৭ সালে ১ হাজার ৮৭৪টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৭০ হাজার ৯৭৬ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬০১ এবং ২২ হাজার ৩৭৫ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে।
২০১৮ সালে ১ হাজার ৮৯৯টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৮ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৪ এবং ঝরে পড়ে ২৮ হাজার ৯৪৪ জন।
২০১৯ সালে ১ হাজার ৯৩০টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৬১ হাজার ৯০৬ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৯০ এবং ঝরে পড়ে ১৯ হাজার ৪১৬ শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আবদুস সালাম বলেন, বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। যেমন বাল্যবিয়ে, দারিদ্র, পড়াশোনার প্রতি অনিহা, অভিভাবকদের অসচেতনতা এবং অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়া ইত্যাদি।
তবে দেশের অন্যান্য বোর্ডের চেয়ে কুমিল্লা বোর্ডের ঝরে পড়ার হার কম বলে দাবি করেন এই বোর্ডের চেয়ারম্যান।