করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় এখন পর্যন্ত নির্বাচনের নতুন কোনো তারিখ ঘোষণা করা না হলেও, আগামী ৫ আগস্ট শেষ হতে যাচ্ছে চসিকের বর্তমান মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নছিরের মেয়াদকাল। এবারের নির্বাচনে নাছিরের জায়গায় দলীয় মনোনয়ন পেয়ে লড়তে যাচ্ছেন নগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
এমন প্রেক্ষাপটে মেয়রের পদে প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি উঠে এসেছে। এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। নগরবাসীর একাংশ মনে করছেন, বর্তমান মেয়রকে প্রশাসক রেখে চসিকের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ধারাবাহিকতা রাখা হবে। তবে অন্য পক্ষের ধারণা কোনো আমলাকে চসিকের প্রশাসক নিয়োগ করতে পারে সরকার। তবে সরকারি বিভিন্ন সূত্রে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে বা আগামী সপ্তাহের প্রথমে চসিকের প্রশাসক পদে কাকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি পরিষদ গঠিত হবে। এ পরিষদ তাদের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে করপোরেশনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।
নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ আলমগীর জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৯ মার্চ চসিকের নির্ধারিত মেয়র ও কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ২১ মার্চ এ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর।
এবারের চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির পক্ষে ডা. শাহাদাত হোসেন মেয়র পদে লড়ার জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন। এছাড়া ৪১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের সবগুলোতেই আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য কয়েকটি দলের প্রার্থীরা লড়াইয়ের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থক পর্যায়ের সকলেই প্রশাসক পদে কাকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তা নিয়ে অধিক আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তবে দলের বাইরে নিরপেক্ষ কাউকে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।
এ প্রসঙ্গে বর্তমান মেয়র নাছির উদ্দীন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীই আমাকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বানিয়েছেন। এখন তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটিই চূড়ান্ত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নগরবাসীর উন্নয়নে অতীতে ছিলাম, এখনও আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’