স্থানীদের বাধা উপেক্ষা করে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত নদী থেকে শ্রমিকদের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছে কতিপয় বালু ব্যবসায়ীরা। এতে নদী তীরবর্তী কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করলেও স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশিষ্টরা গুরুত্বপূর্ণ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না অভিযোগ ভোক্তভোগীদের।
আরও পড়ুন: ধলেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: বসত-বাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীন হতদরিদ্র মানুষকে নিরাপদ আবাসনের আওতায় এনে গৃহ নির্মাণ করে দিলেও সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগ ও জনপ্রতিনিধি নদীগর্ভে বিলীন হওয়া পরিবারগুলোর কথা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
ছাতকের ব্যবসায়ী গোয়ালগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিলাল মিয়া বলেন, ‘নদী হতে বালি উত্তোলন করায় আমার বাসভবনের ফ্লোরে এবং দেয়ালে ফাটল ধরেছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে বাধ্য হয়ে ছাতক শহরে বসবাস করতে হচ্ছে। আমার বাড়ির সামনের রাস্তাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে পথচারিরা আমার বাড়ির ভেতর দিয়ে চলাচল করছেন। এছাড়াও গ্রামের অসহায় কয়েকটি পরিবার নদী ভাঙনের ফলে ভিটামাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।’
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে কৃষি জমি
একই গ্রামের বাসিন্দা সামছুজ্জামান রাজা বলেন, ‘আমাদের বাপ দাদার স্থাপিত কবরস্থানটি নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় আমরা শঙ্কতি রয়েছি।’
গ্রামের প্রায় শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের স্বাক্ষরসহ বিলাল মিয়া বাদী হয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অনুলিপি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছাতক সার্কেল ও ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রহমান বলেন, ‘নদীগুলো রক্ষা করার জন্য অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধে শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৩ জনের কারাদণ্ড
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’