বাজারের অন্যান্য খাবারের তুলনায় ইসকষ বেশি উপকারি। এটি দিয়ে একই সাথে সালাদ, তরকারি, ভাজি, ভর্তা খাওয়া যায়। ইসকষ ভিনদেশি সবজি হলেও আমাদের দেশে শীতকালে ভালো ফলন হয়।
তবে ক্রেতাদের মধ্যে অপরিচিত এবং ধারণা কম থাকায় বিদেশি সবজি ‘ইসকষ’ চাষে ভালো দাম পাচ্ছে না যশোরের কৃষকরা।
পোকা ও পচন এ চাষের প্রধান শত্রু। এটি চাষে খরচ অনেক কম। বীজ বপনের ৩০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে। ৪৫ দিনে ফল কাটার উপযোগী হয়। গাছের মেয়াদকাল সর্বোচ্চ ৮০ দিন।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, অপরিচিত সবজি হওয়ায় স্থানীয় বাজারে তুলনামূলক দাম অনেক কম। বিদেশ ফেরত বাংলাদেশিরাই ইসকষের মূল ক্রেতা। পূর্ব পরিচিত এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা থাকায় তারা এ সবজি কিনে থাকেন।
উপজেলা সদরের দোহাকুলা গ্রামের আব্দুল হাকিম জানান, দুই বছর পূর্বে তার মেয়ের জামাই জর্ডান থেকে ইসকষের বীজ পাঠায়। প্রথম বছর চাষ সম্পর্কে ধারণা না থাকায় সুবিধা করতে পারেননি। তবে প্রথমবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার সফল হলেও কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। কারণ স্থানীয় বাজারে ইসকষের ক্রেতা ও দাম অনেক কম।
বাঘারপাড়া বাজারে তিনি মাত্র ৪০ টাকা কেজিতে ইসকষ বিক্রি করেছেন। প্রকৃত মূল্য না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে ঢাকার ব্যাপারীদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। এ বছর তিনি ১০ শতক জমিতে চাষ করেছেন। ৪০ হাজার টাকার ইসকষ বিক্রি করবেন বলে আশাবাদী তিনি।
বীজ সংগ্রহ করে আগামী বছর এ সবজির চাষ আরও বৃদ্ধি করবেন বলে জানান আব্দুল হাকিম।
এ সবজির ব্যাপারে বাঘারপাড়া উপজেলা সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আহম্মদ আলী জানান, ‘আমি একবার হাকিমের ইসকষ ক্ষেতে গিয়েছি। তবে এ সবজি আমাদের দেশের না হওয়ায় এ সম্পর্কে জনসাধারণের ধারণা কম।’