সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এডিস রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। ঢাকাসহ সারাদেশে এডিস রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এডিস রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন জাতীয় পরিকল্পনা। আর মশা নিধন করতে পারলেই ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ কমে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোশতাক হোসেন ইউএনবিকে বলেন, সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এডিস রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না। ঢাকাসহ সারাদেশে মশা নিধন করতে হলে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের আন্তঃমন্ত্রণালয় টাস্কফোর্সের একটি নির্দেশনা আছে। অনেকগুলো কাজ ব্যক্তিগতভাবে করা যায়, আবার অনেকগুলো ব্যক্তিগতভাবে করা যায় না। আপনার ফ্ল্যাট পরিচ্ছন্ন করতে গেলে সিটি করপোরেশনের অভিজ্ঞ কর্মী, ফ্ল্যাট মালিক সমিতির স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সমন্বয় লাগবে। আর মশা নিধন করতে পারলেই ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ কমে আসবে। মশা নিধনে সমন্বিত একটা চেষ্টা না থাকলে শুধু প্রচার করলে হবে না।
তিনি আরও বলেন, শুধু জরিমানা করে জনস্বাস্থ্যের সমস্যার সমাধান হবে না। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা এলে জনগণ দরজাই খুলবে না,ঢুকতে দেবে না। ঢুকলেই জরিমানা করবেন। একটি হটলাইন দিয়ে দিয়েছেন মশক আছে কি না জানানোর জন্য। কে ফোন দিয়ে জরিমানা ডেকে নিয়ে আসবে। এসে লার্ভা পাবেন আর জরিমানা করবেন। সাধারণ বিষয়ে জরিমানা হতে পারে, কিন্তু জনস্বাস্থ্যের বিষয়ে জরিমানা দিয়ে জনগণকে দূরে সরিয়ে দিয়েন না। কমিউনিটি সম্পৃক্ততার যেই কাঠামো স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশিকায় দেওয়া আছে সেটা অনুসরণ করুন।
ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশনের প্রয়োজনের তুলনায় কিচ্ছু নেই। পুরো শহরে মশক নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় প্রতি ওয়ার্ডে ১১ জন শ্রমিক কাজ করছেন। অথচ ঢাকা শহরের একটি ওয়ার্ডে লাখের বেশি লোক থাকে। এখানে স্থানীয় সরকার বিভাগে যেই নির্দেশিকা তাতে বলা আছে, প্রয়োজনে ১০টি বা তার বেশি ভাগ করে গলি-মহল্লাসহ ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটি করতে হবে। সেখানে ১১ জন কর্মী নয়, সঙ্গে অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী লাগবে। সেই স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে কাতর রাজধানী হাসপাতালে সিট সংকট