গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের পশ্চিম পার্শ্বেই এই বৃহৎ বিলটির অবস্থান। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী প্রধান সড়কের গহড়া যাত্রী ছাউনিতে নেমে সেখান থেকে যানবাহন কিংবা পায়ে হেঁটে মাত্র ৫ মিনিটেই পৌঁছা যাবে এই শাপলা রাজ্যে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানায়, বিলটিকে ঢেলে সাজানো হলে গোয়াইনঘাটের পর্যটন ব্যবস্থাপনায় নতুন আরও একটি স্থান লিপিবদ্ধ হবে। পর্যটক ও দর্শনার্থীদের পদচারণা শুরু হলে পর্যটন কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত হবে এবং এতে করে স্থানীয়রা উপকৃত হবেন। সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকনে ছুটে আসা প্রকৃতি প্রেমী ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুলের মতো অন্যতম আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন স্পট হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে লাল শাপলায় মুখরিত পরিবেশের এই বিলটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিলে ফুটে আছে লাখো শাপলা। পুরো বিল জুড়ে যেন লাল রঙের আভা ছড়িয়ে রয়েছে। সকালে উদিত সোনালী সূর্যের আলো আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে চোখে পড়লো বক, পানকৌড়ি, বালিহাঁস, ডাহুক, কোড়া, শালিকসহ নানা জাতের পাখি। পাখিগুলো ডুব দিয়ে মাছ শিকার ও ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যাওয়া এ যেন এক অন্য রকম মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। অপরূপ এ বিলটি যেন পর্যটক ও দর্শনার্থীদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
গহড়া গ্রামের আলী আহমদ, নিজাম মিয়া, আবদুল করিম, সিরাজ উদ্দিনসহ স্থানীয় কয়েকজন জানান, শুকনো মৌসুমের অল্প কিছুদিন ছাড়া সারা বছরই এই বিল লাল শাপলার রংয়ে রঙিন হয়ে থাকে।
ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, কয়েক শতাধিক জমির ওপর বিস্তৃত বিলটির চারপাশে লাখো লাল শাপলা ফুল ফুটে। ছোট ছোট নৌকায় করে বিলের চতুর পাশের সীমারেখায় ঘুরে বেড়ানো যায়। বিশেষ করে ডিঙ্গি নৌকায় করে এই বিলে ঘুরার মজাই আলাদা।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুস সাকিব জানান, পর্যটন সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে সরকার আন্তরিক। এ খাতে সরকারের গৃহীত বাস্তবসম্মত নানামুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। গোয়াইনঘাটের ভৌগলিক সীমারেখায় গড়ে উঠা যে কোনো দর্শনীয় স্থানকে পর্যটক ও পর্যটন বান্ধব পরিবেশ করে গড়ে তুলতে আমরা সচেষ্ট আছি। উপজেলা সদরের অদূরে বুগইল বিলের শাপলা রাজ্যের কথাও শুনেছি।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে এই স্থানকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।