ফরিদপুর জেলা শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ভাঙ্গা রেল স্টেশনের পেছনে নুরপুর বিলের অবস্থান। বিশাল এ জলাধারে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন প্রকার জলজ উদ্ভিদ। আছে নীল শাপলা, কলমিলতা ফুল ও কচুরিপানা।
আরও পড়ুন: অতিথি পাখির কলরবে মুখর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
এখানে শীতের শুরুতেই সুদূর সাইবেরিয়া ও শীতপ্রধান অন্যান্য দেশ থেকে ছুটে এসেছে অতিথি পাখিরা। নানা বর্ণের পাখির উপস্থিতি বিলের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে। পাখির কলকাকলিতে মুখরিত এখন বিলটি।
বছরের এ সময়টাতে শীতপ্রধান দেশ সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীন ও নেপালে প্রচুর তুষারপাত হয়। তুষারপাত থেকে বাঁচতে পাখিরা উষ্ণতার খোঁজে পাড়ি জমায় বাংলাদেশে। মূলত নভেম্বর মাসে এরা বাংলাদেশে আসে। আবার মার্চের শেষ দিকে ফিরে যায় আপন ঠিকানায়।
আরও পড়ুন: বাঁশি ব্যবহার করে অতিথি পাখি শিকার!
চলতি বছরের নভেম্বর মাসের শুরুতেই মদনটাক, বালিহাস, স্বরালীসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির সাথে বিলে আসতে থাকে দেশীয় সাদা বক। প্রকৃতির শ্বাশত অপরূপ এ বিলে আসা অতিথি পাখিদের অবাধ বিচরণের সুব্যবস্থা ও শিকারীদের হাত থেকে পাখিদের রক্ষা করতে জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামানা করেছেন পাখি প্রেমীরা। আর কেউ অতিথি পাখি শিকার করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন জেলা প্রশাসক।
নুরপুর বিলে ঘুরতে আসা এক পাখি প্রেমী জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অতিথি পাখিরা এসেছে। অতিথি পাখির সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে বেড়াতে এসেছেন। ‘এ অতিথি পাখিদের নিরাপদে রাখতে হবে। এদের যাতে কেউ শিকার করতে না পারে এ জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
আরও পড়ুন: তেরখাদার বিভিন্ন বিলে অতিথি পাখির আগমন, বেপরোয়া শিকারিরা
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন রয়েছে। সে আইন অনুযায়ী অতিথি পাখি নিধন একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমি উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি, যাদের এ ধরনের কাজের সাথে পাওয়া যাবে তাকে বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজাও দেয়া হবে।’