নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, রাষ্ট্রায়াত্ত এ প্রতিষ্ঠানটি জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্দেশনায় ঢাকায় সাত হাজার কিলোমিটার গ্যাসলাইনের মধ্যে পাঁচ হাজার কিলোমিটার গ্যাস লাইনের পাইপ প্রতিস্থাপন করবে।
ওই বিভাগের সিনিয়র এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, শুরুতে দুই হাজার কিলোমিটার গ্যাসলাইন প্রতিস্থাপন করা হবে এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে পাঁচ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতিস্থাপন করা হবে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে দুই হাজার কিলোমিটারের যে গ্যাসের পাইপলাইন প্রতিস্থাপন করা হবে, তাতে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
তিতাসের প্রকৌশলীরা এ প্রকল্পের নকশা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, নকশা প্রস্তুত হলে তা অনুমোদনের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করা হবে।
এছাড়াও তিতাস গ্যাসের গ্রাহকদের জন্য স্মার্ট প্রিপেইড মিটার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রাহক কোনো বিক্রেতার কাছে যাওয়া ছাড়াই প্রি-পেইড রিচার্জের মাধ্যমে গ্যাস পাবেন।
সরকারের এ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাসপাইপলাইনের ছিদ্রগুলো পরীক্ষা করে এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
ঢাকার গ্যাস পাইপলাইনের বেশিরভাগ ৩৫-৪০ বছরের পুরনো উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসবের সবগুলোই প্রায় জরাজীর্ণ হয়ে গেছে।
নসরুল হামিদ বলেন, পাইপালাইন প্রতিস্থাপন হলে বিভিন্ন ছিদ্র ও ব্যবস্থাপনা ক্রুটির (সিস্টেম লস) কারণে যে অপচয় হয় তা রোধ সম্ভব হবে।
ঢাকায় প্রতিদিন প্রায় ১৫০ মিলিয়ন কিউবিক ফিট গ্যাস চুরি হয় বলে জানতে পেরেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ হবে এবং গ্যাস চুরি বন্ধ হবে।