সংশ্লিষ্টরা জানান, সাইনবোর্ড চৌরাস্তা থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ সংযুক্ত জেলাগুলোর গণপরিবহন সহজেই মিলে যাওয়ায় যাতায়াতের অনেক সুবিধা থাকলেও এই সড়কে যেন অসুবিধার শেষ নেই। জীবন ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার ও দীর্ঘ যানজট এই সড়কের অন্যতম সমস্যা।
জানা গেছে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের অধিকাংশ ঢাকামুখী গণপরিবহন ও জেলার পরিবহনগুলোর যাত্রী সাইনবোর্ড এলাকায় উঠা-নামা করে।অন্যদিকে চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লাগামী বাসগুলোর অধিকাংশ কাউন্টারও এখানেই এবং মালবাহী ট্রাক সাইনবোর্ড দিয়েই যাতায়াত করায় চতুর্দিক দিয়ে যানজট শুরু হয়।
এছাড়া প্রয়োজনের তাগিদে হাজার হাজার মানুষকে জীবনের নিরাপত্তার কথা ভুলে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হয়। এই কারণেই সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। একের পর এক প্রাণহানি ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন টনক নড়েনি।
সাইনবোর্ডের যানজটের সমস্যা নিয়ে গত বছর প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফ্লাইওভারের দাবি করেছিলেন রূপগঞ্জ আসনের এমপি; বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
এদিকে, অসুস্থ মাকে নিয়ে বারডেম হাসপাতালে যাচ্ছিলেন নজরুল ইসলাম নামে এক পথচারী।
তিনি জানান, ষাটোর্ধ্ব বয়সের অসুস্থ মাকে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে। এমনিতে অসুস্থ, তারপরেও জীবনের নিরাপত্তার কথা ভুলে সড়কে পারাপার হতে হয়। দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধান জরুরি প্রয়োজন।
শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, সাইনবোর্ড এলাকায় ফুটওভার ব্রিজের দাবি আমাদের সকলেরই।যানজটের পাশাপাশি সবচেয়ে ঝুঁকি মালবাহী ট্রাকগুলোতে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ট্রাক প্রবেশের কোনো নিয়ম নেই বললেই চলে। এলাকাজুড়ে সিএনজি, অটোরিকশার স্ট্যান্ডেও ছেয়ে গেছে। মানুষের চলাফেরা করতে খুব সমস্যা হয়।
স্থানীয়দের দাবি, সাইনবোর্ড এলাকায় যানজট নিরসনে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেইসাথে এই সড়কে মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে খুব শিগগির একটি ফুটওভার ব্রিজ স্থাপনের দাবি জানান তারা।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ নারায়ণগঞ্জের সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ তারিক হোসেন বলেন, ‘সাইনবোর্ডের এলাকার এই সমস্যার ব্যাপারে আমরা অবগত। ফুটওভার ব্রিজের ইস্টিমেট এখনও অনুমোদন হয়নি। অনুমোদন হলে দরপত্র অনুমোদন দিয়ে কাজ শুরু হবে।’