তিস্তা অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বাড়ছে দুর্ভোগ। অসময়ের বন্যা কৃষকের সোনালি ফসল কেড়ে নিয়েছে। এ কারণে তিস্তাপাড়ের লাখো কৃষকের চোখে মুখে এখন অজানা আতঙ্কের ছাপ। পরিবার পরিজন নিয়ে বাকি দিনগুলো কীভাবে কাটবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।
জেলার তিস্তা নদীবেষ্টিত লালমনিরহাট সদর, আদিতমারি, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামে সৃষ্ট এ বন্যায় বেশি ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকেরা। কার্তিকে পানিশূন্যে তিস্তার বুকে শীতকালীন শাকসবজি ছাড়াও ভুট্টা, বাদাম, রসুন, পেঁয়াজ, আলু, মসুর ডাল, ধান ও অন্যান্য ফসল বুনেছিলেন তারা। কিন্তু হঠাৎ ভারতের উজান থেকে ভাটিতে আসা পানিতে সবকিছু যেন শেষ হয়ে গেছে। নদী তীরবর্তী গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় ফসলের চরম ক্ষতি হয়েছে।
বন্যায় ফসল হারিয়ে দিশেহারা লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চর রুদ্রেশ্বর গ্রামের সাইদুর রহমান। কয়েক বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করেছিলেন তিনি। একদিনের বন্যায় তার সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে কীভাবে বছরের বাকিটা সময় তিনি পার করবেন তা নিয়ে পড়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়।
আরও পড়ুন: তিস্তায় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী