সূত্র জানায়, ঈদের প্রায় এক সপ্তাহ আগে টাকা বাজারে ছাড়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘ঈদের আগে আমরা ২৫,০০০ কোটি টাকা বাজারে ছাড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।’
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাড়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বছর ১৮ হাজার কোটি টাকা ছেড়েছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে বাজারে নতুন টাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যাতে পুরনো নোটগুলো তুলে নিয়ে নতুন নোট প্রতিস্থাপন করা যায়।
চীনের উদাহরণ তুলে ধরে তারা বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরে চীন বাজারে প্রায় ৬০ হাজার কোটি ইউয়ান প্রত্যাহার করে নেয় এবং বাজারে নতুন নোট ছাড়ে।
তবে এ ধারণা প্রত্যাখ্যান করে দিয়ে সিরাজুল বলেন, ‘এ জাতীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। নতুন নোট প্রকাশের মাধ্যমে পুরনো নোট প্রত্যাহারের কোনো সম্পর্ক নেই।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, পুরনো নোটের জায়গায় নতুন নোট প্রতিস্থাপন করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মিত কাজের অংশ।
ব্যাংক সূত্র জানায়, ঈদের আগে বাজারে অতিরিক্ত মুদ্রার অনেক চাহিদা থাকবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাজার ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে নতুন নোট প্রকাশ করছে।
তারা বলেন, সাধারণত প্রতি বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে বিভিন্ন কারণে টাকার তারল্য চাহিদার চাপ কমাতে বাজারে নতুন ব্যাংক নোট প্রকাশ করে। এ নোটগুলো সবসময়ই পুরনো নোটগুলোকে প্রতিস্থাপন করার মাধ্যমে ছাড়া হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা পরিচালন বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নোটগুলোর মধ্যে ৫০০ টাকা, ২০০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০ টাকা, ২০ টাকা এবং ১০ টাকা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এ নোটগুলোর মধ্যে, বাজারে একেবারে নতুন ২০০ টাকার নোট প্রকাশ করবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে ও মুজিব বছর উপলক্ষে বাজারে ২০০ টাকার নতুন নোট প্রকাশ করবে বলে আগেই তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কর্মকর্তারা বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভোল্টে যথেষ্ট পরিমাণে ১০০০ টাকার নোট থাকায় এ নোট মুদ্রণের প্রয়োজন হবে না।