অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা
বাংলাদেশকে ৪০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিল যুক্তরাজ্য
করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশকে ৪০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দিল যুক্তরাজ্য। সোমবার বিকালে যুক্তরাজ্য থেকে এই টিকার প্রথম চালান দেশে এসেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন,‘যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৪ মিলিয়ন আর্থাৎ ৪০ লাখ ডোজ আগমনকে আমরা স্বাগত জানাই। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ অতিমারির কারণে কঠিন সময় পার করেছে। এই অতিমারি থেকে আরও উত্তম, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধবভাবে উত্তরণে আমরা উভয়ই এক সঙ্গে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য
করোনাভাইরাস অতিমারি মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন প্রস্তুতে সহায়তা করার জন্য ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগসহ অন্যান্য কার্যক্রমে বিশ্বে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বব্যাপী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের অর্ধ বিলিয়নের বেশি ডোজ অলাভজনক মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে, যার দুই-তৃতীয়াংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে যাচ্ছে।
২০২০ সালে কোভ্যাক্স প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা শুরু করে যুক্তরাজ্য এবং বিশ্বের নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে মোট ৫৪৮ মিলিয়ন পাউন্ড প্রদান করে। এই কোভ্যাক্স স্কিমটি ৮৩ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশসহ ১৩৭টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ১৫২ মিলিয়নেরও বেশি ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করেছে। প্রাথমিক ভ্যাকসিনের শতকরা ৬৫ ভাগ ডোজ অক্সফোর্ড-অস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। কোভ্যাক্সের লক্ষ্য ২০২২ সালের প্রথম দিকে বিশ্বের নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে এক দশমিক আট বিলিয়ন ভ্যাকসিন সরবরাহ করা।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন ৭০ শতাংশ কার্যকর
প্রসঙ্গত, এই বছর জি-৭ এ যুক্তরাজ্য জুন ২০২২ এর মধ্যে বিশ্বে ১০০ মিলিয়ন করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ডোজ প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেয়। বাংলাদেশকে প্রদানকৃত এই ভ্যাকসিন অনুদানটি জি-৭ সম্মেলনের প্রতিশ্রুতির ফলস্বরূপ এসেছে। যুক্তরাজ্যের অনুদানের ভ্যাকসিন ডোজগুলির শতকরা ৮০ ভাগ কোভ্যাক্স সুবিধার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
৩ বছর আগে
পরের মহামারি আরও খারাপ হতে পারে: সারাহ গিলবার্ট
করোনা মহামারি হুমকি মোকাবিলায় গবেষণা এবং অর্থ বরাদ্দ আরও না বাড়ালে বর্তমান সংক্রমণের চেয়ে ভবিষ্যতের মহামরি আরও প্রাণঘাতী হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ টিকা উদ্ভাবনকারী বিজ্ঞানীদের অন্যতম অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট।
সোমবার এক বক্তৃতার তিনি বলেন, ‘বর্তমান মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি হয়েছে তহবিলের কারণে তা যেন বৃথা না যায়।’
সারাহ গিলবার্ট বলেন, ‘আমাদের জীবন-জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলা এটি শেষ ভাইরাস নয়, সত্য হল, এরপরে আরও খারাপ ভাইরাস আসতে পারে। হতে পারে সেটি আরও সংক্রামক বা আরও প্রাণঘাতী বা উভয়ই হতে পারে।’
গিলবার্ট করোনা সংক্রমণ হ্রাস পেলেও সরকারগুলোকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং মহামারি প্রস্তুতির জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি দ্বিগুণ করার আহ্বান জানান।
মহামারি প্রস্তুতির জন্য এখনও কোনও তহবিল নেই উল্লেখ করে এই বিজ্ঞানী বলেন, ‘আমরা যে অগ্রগতি করেছি এবং জ্ঞান অর্জন করেছি, তা যেন বৃথা না যায়।’
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু সাড়ে ৫২ লাখ ছাড়িয়েছে
ডেল্টার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ওমিক্রন প্রতিরোধ করতে হবে: ডব্লিউএইচও
৩ বছর আগে
টিকা পেতে কয়েকটি দেশের সাথে আলোচনা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশে জরুরি প্রয়োজনে করোনা টিকার চাহিদা মেটাতে ভারতকে অব্যাহত অনুরোধ করা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, চীন, কানাডা, রাশিয়া, যুক্তরাজ্যসহ একাধিক দেশ থেকে সরকার ভ্যাকসিন পাওয়ার চেষ্টা করছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চীনের সাথে টিকার পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা অনেকটা চূড়ান্ত পর্যায়ে। এছাড়া আমেরিকার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার আশা করছে সরকার।’
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সরবারহ না থাকায় আমাদের অনেকে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে পারছেন না।
এর আগে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং কিউন সাক্ষাত করেন।
তিনি রাশিয়ার সাথে চলমান আলোচনার বিষয়টি তুলে ধরেন বলেন, 'আশা করছি সপ্তাহের মধ্যে সব কিছুর সমাধান হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: সিনোফার্মার টিকা ক্রয়ের অনুমোদন দিল সরকার
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা অনানুষ্ঠানিকভাবে জানতে পেরেছি করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কম থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের টিকা সরবরাহের অগ্রাধিকার তালিকায় বাংলাদেশ নেই।
বাংলাদেশের জন্য এটি জরুরি বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এটাকে বাংলাদেশের সঙ্কট ভাবছে না এবং আমি এই ধারণা পছন্দ করি না। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি সঙ্কট।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টে গ্লোবাল কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়া এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার সমন্বয়কারী গেইল ই স্মিথ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ৮০ মিলিয়ন অতিরিক্ত ভ্যাকসিন শেয়ার করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে কীসের ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশকে ভ্যাকসিন বণ্টন করা হবে এই মুহূর্তে বলতে পারব না। আমি আগেই বলেছি আমরা ভারত এবং তাদের প্রতিবেশিদের করোনার অবস্থার প্রেক্ষিতে জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদান করব।’
ভারত সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ভারত কখনোই বলেনি যে টিকা দেবে না। তবে তারা দিতে পারছে না।
তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজন মেটাতে উপহার স্বরূপ ভ্যাকসিন সরাবারহের ব্যাপারে বাংলাদেশ ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছে, যদিও রপ্তানির ব্যাপারে ভারতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি অবশ্যই বলব যে ভারতের সাথে এই ব্যাপারে আমাদের ইতিবাচক কথা হচ্ছে।'
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে বাংলাদেশের জরুরি প্রয়োজন অনুযায়ী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন সরবারহ নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এর সাথে ৩ কোটি ডোজ অক্সফোর্ডের করোনা টিকা সরবরাহের চুক্তি করেছিল। সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মার চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করার কথা ছিল।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, জরুরি ভিত্তিতে প্রতি মাসে অন্তত ৩০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ভারতকে দ্রুত টিকা পাঠানোর আহ্বান বাংলাদেশের
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ টিকা বুঝে পেয়েছে। এছাড়া ভারত সরকারের কাছ থেকে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ।
এদিকে, দ্বিতীয় ডোজের চাহিদা মেটাতে কানাডার কাছে জরুরি প্রয়োজনে কমপক্ষে ২ মিলিয়ন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ।
৩ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জরুরি ৪০ লাখ ভ্যাকসিন চায় বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকার জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪০ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ চেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) নিজ কার্যালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রয়োজনের অধিক পুরো বিশ্বব্যাপী ৬ কোটি ডোজেরও অধিক অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।
জরুরি ভিত্তিতে ৪০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন চেয়েছি, উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আরও এক থেকে ২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন চাইব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সরকার চাইছে যেকোনও উপায়েই হোক ভ্যাকসিন সংগ্রহের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পেতে তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে আলোচনায় ড. মোমেন জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে কোনো ভ্যাকসিন সহায়তা দিয়েছে কিনা। জবাবে রাষ্ট্রদূত জানান, তারা এখনও তেমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
মন্ত্রী জানান, মার্কিন সরকারের ভ্যাকসিন রপ্তানির জন্য খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়, যা বেশ সময়সাপেক্ষ। কিন্তু বাংলাদেশের খুব জরুরি ভিত্তিতেই ভ্যাকসিন প্রয়োজন।
এর আগে বুধবার (৫ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এবং অভিবাসী ভারতীয়রা মার্কিন সরকারের কাছে বিভিন্নভাবে ভারতকে ভ্যাকসিন সহায়তা দেয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছে। মন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশি কমিউনিটিকেও একই দাবি জানানো আহ্বান জানান।
এর আগে বাংলাদেশ সফরে এসে ভ্যাকসিন সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরে বিশেষ দূত জন কেরি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জানান, ভ্যাকসিন সংগ্রহের ব্যাপারে আমরা সবদিক বিবেচনা করছি এবং সকল উৎস থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের ব্যবস্থা করছি। ইতোমধ্যেই রাশিয়া ও চীনের সাথে এই নিয়ে আলোচনা এগিয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, চীন সরকার ঈদের আগেই উপহার হিসেব ৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা উপহার হিসেবে প্রেরণের চেষ্টা করছে। আগামী ১০ থেকে ১২ মে’র মধ্যে এসকল ভ্যাকসিন বাংলাদশে এসে পৌঁছাতে পারে।
৩ বছর আগে
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা পেতে তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বুধবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পেতে সরকারের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
আব্দুল মোমেন তার বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এটি (ভ্যাকসিন) পাওয়ার ব্যাপারে অনেক আশা করছি। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল আলম দেশটির সরকারের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের সাথে বৃহস্পতিবারের নির্ধারিত বৈঠকে বাংলাদেশে অক্সিজেন সরবরাহসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘তবে আমরা শুনেছি সম্প্রতি ভারত এবং ব্রাজিলে যে হারে মানুষ মারা যাচ্ছে সে কারণে ভ্যাকসিনের ব্যাপারে ওই দেশগুলোক প্রাধান্য দেয়া হবে।’
ড. মোমেন বলেন, ‘ভারতীয় অভিবাসীরা মার্কিন সরকারের সাথে তদবির করে যাচ্ছে যাতে তারা ভারতে ভ্যাকসিনের পুরো পরিমাণ পাঠায়। তারা খুব শক্তিশালী। একজন নারী নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’
তিনি বাংলাদেশি আভিবাসীদের এ ব্যাপারে আমেরিকান সরকারের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের কথা বলছেন যাতে বিভিন্ন অংশের সাথে যোগাযোগে তারা গুরুত্ব বুঝতে পারে।
ড. মোমেন বলেন, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও করোনা ভ্যাকসিন পাবে এ ব্যাপারে আমেরিকা আশ্বস্ত করেছে।
সম্প্রতি জলবায়ু সম্পর্কিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জন কেরি সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আপনাদের আশ্বাস দিতে পারি যে যখন আমরা বেশিরভাগ নাগরিককে ভ্যাকসিন দেয়ার শেষ পর্যায়ে পৌঁছতে পারব তখন অবশিষ্ট ভ্যাকসিনগুলো আমরা যে কোনও উপায়ে বিতরণ করব।
ড. মোমেন বলেন যে তারা ইউরোপীয় কিছু দেশ থেকে ভ্যাকসিন পেতে মতো অন্যান্য উত্স থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন যা তারা ব্যবহার করছে না।
তিনি বলেন, ‘তবে তাদের মোট ভ্যাকসিনের পরিমাণ আকারে খুব কম, যেখানে আমাদের প্রতিদিন ২ লাখ টিকা প্রয়োজন, এই ফ্রন্টে সম্ভাবনা খুব উজ্জ্বল নয়।’
এর আগে মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ঈদুল ফিতরের আগেই ভ্যাকসিন ডেলিভারি দিতে চীনা সরকার কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: দেশে কোভিড ভ্যাকসিনের মজুদ শেষের দিকে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
তিনি বলেন, ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সম্প্রতি জানিয়েছেন যে ভ্যাকসিন ঈদের আগেই ঢাকায় আসা শুরু করবে। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নির্দিষ্ট করে জানিয়েছেন ১০ মে ভ্যাকসিন আসবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ভারতের সেরাম ইনিস্টিটিউট থেকে ৩ কোটি ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যাপারে সরকার তাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি জানান, তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ ৩০ লাখ ভ্যাকসিন চেয়েছে ভারতের কাছে। উত্তরে তারা জানিয়েছেন ভ্যাকসিন পাওয়া মাত্রই তারা আমাদের সরবারহ করবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, করোনাভাইরাস থেকে জনগণকে রক্ষায় সরকার যেকোনো মূল্যে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করবে। ‘আমরা আরও ভ্যাকসিন আনছি, কত টাকা লাগবে সেটা কোনো বিষয় নয়।’
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড ব্র্যান্ড নামে বিক্রিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছে। এটি জানুয়ারি থেকে শুরু করে ছয় মাসের জন্য তিন কোটি ডোজ সরবরাহের জন্য স্থানীয় ফার্মা জায়ান্ট বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সাথে একটি চুক্তি করেছে।
ভারতে বর্তমান উচ্চ চাহিদা থাকায় ভ্যাকসিনের বাকি ডোজের সরবরাহ স্থগিত রয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের উপহার হিসেবে বাংলাদেশ কোভিশিল্ডের ৩৩ লাখ ডোজ পেয়েছে। সামগ্রিকভাবে, যে কোনও দেশে ভারত পাঠানো সর্বাধিক পরিমাণ হলো ১ কোটি ৩ লাখ ডোজ।
আরও পড়ুন: বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহে ২ সপ্তাহ সময় লাগবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশে টিকা দেয়ার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী। ভ্যাকসিনের ব্যাপারে দু‘সরকারের মধ্যকার চুক্তির জন্য কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা তাদের বিষয় তুলে ধরেছেন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের বক্তব্য তুলে ধরবে।’
৩ বছর আগে
টিকার মজুদ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কোভিড-১৯ এর টিকার মজুদ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, চীনের উপহারের ছয় লাখ ডোজসহ বাংলাদেশের পরিকল্পনা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন থাকবে।
তিনি বলেন, 'আমাদের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। আমরা একটি লাইনআপ করেছি। আমাদের যথেষ্ট ভ্যাকসিন থাকবে। চীন উপহার হিসেবে ভ্যাকসিনের ছয় লাখ ডোজ দেবে। আমাদের এ নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই ... আমরা ঠিক আছি।'
আরও পড়ুন: অন্যান্য দেশ থেকেও করোনার টিকা আনার উদ্যোগ সরকারের
বাংলাদেশ চুক্তির মাধ্যমে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) দ্বারা উত্পাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ টিকার ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছে। দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের উপহার হিসেবেও বাংলাদেশ টিকার ৩৩ লাখ ডোজ পেয়েছে।
ভারত থেকে যে কোনো দেশে প্রেরিত বৃহত্তম পরিমাণ এটি।
নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ড. মোমেন বলেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশের দুই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশে টিকা সহ-উত্পাদনের প্রস্তাবে নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন।
'আমরা একই পৃষ্ঠায় আছি। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিস্তারিত জানে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দ্বারা বিষয়গুলি চূড়ান্ত করা হবে,' বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত সপ্তাহে ইউএনবির সাথে আলাপকালে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রাশিয়া বাংলাদেশকে টিকা সহ-উত্পাদন করার প্রস্তাব দিয়েছে। 'এটা খারাপ না। আমরা আমাদের বিকল্পগুলো উন্মুক্ত রাখছি।'
তিনি বলেছিলেন, পরিস্থিতি ঠিকঠাক থাকলে রাশিয়া প্রযুক্তি দেবে এবং বাংলাদেশি ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলো এখানে রাশিয়ার টিকা তৈরি করবে। 'এটি সস্তা হবে এবং আশা করি এটি আরও ভাল হবে।'
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণ টিকাদান কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর উদ্বৃত্ত থাকলে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্যঝুঁকি কম: গবেষণা
জলবায়ু সম্পর্কিত মার্কিন রাষ্ট্রপতির রাষ্ট্রদূত জন কেরি সাম্প্রতিক সময়ে তার বাংলাদেশ সফরে সাংবাদিকদের বলেছেন, 'আমরা আশ্বাস দিতে পারি, আমাদের গুরুতর গণ টিকাদান কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর উদ্বৃত্ত থাকলে আমরা যে কোনো উপায়ে ভ্যাকসিন পুরোপুরি সরবরাহ করব।'
ভারতে ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ আশা করে ভারত দুই দেশের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) দ্বারা উত্পাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকার অবশিষ্ট ডোজ সরবরাহ করবে। তবে অন্যান্য বিকল্পও উন্মুক্ত রাখবে।
সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকার তিন কোটি ডোজ কেনা হয়েছে এবং ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান গত জানুয়ারিতে আসে এবং কোভিড-১৯ টিকার ২০ লাখ ডোজের দ্বিতীয় চালানটি ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল।
টিকার রপ্তানি বন্ধে ভারতের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার দাবিসহ বিশ্বব্যাপী টিকার উচ্চ চাহিদার কথা স্বীকার করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, 'আমি মনে করি, যেহেতু আমরা অগ্রিম অর্থ প্রদান করে ব্যবস্থা করেছি সেহেতু এই দাবি আমাদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। ভারত ঘোষণা করেছে যে সময়সূচি অনুসারে টিকা সরবরাহ করা হবে। এবং আমরা এটি বিশ্বাস করি।'
চীন বাংলাদেশকে টিকা সরবরাহের ব্যাপারে একবার অনেক আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) কর্তৃক তাদের টিকা অনুমোদিত না হওয়ায় বাংলাদেশ তখন অনিচ্ছুক ছিল।
ডা. মোমেন বলেন, চীন তাদের বিশাল জনসংখ্যার জন্য টিকা পরিচালনা করে এবং ৫০টিরও বেশি দেশে প্রমাণ করা ছাড়াই তাদের টিকাকে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াহীন বলেছে। 'আমরা তাদের সাথে (চীন) আবার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি যেন তারা আমাদের সহায়তা করতে পারে।'
আরও পড়ুন: চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ভারতের টিকা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) জানিয়েছে, ভারত রাশিয়ান স্পুটনিক ভি কোভিড-১৯ টিকা ব্যবহারেরও অনুমোদন দিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী এর ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এই টিকা পেতে প্রতিবেশী ভারতের সাথে প্রথম হাত মেলানো কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব এবং দূরদর্শিতার কারণে এটি সম্ভব হয়েছিল। তিনি প্রথম থেকেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন।'
৩ বছর আগে
চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ভারতের টিকা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতে উচ্চ চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) কর্তৃক তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকার ডোজ চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী ঢাকা।
পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অন্যান্য দেশ থেকেও টিকা আনার বিষয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘ভারত আমাদের জানিয়েছে যে এটি (মার্চের চালান) আসবে তবে এখনও আসেনি। আমরা তাদের আশ্বাসে বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, ভারতের উপহার হিসেবে বাংলাদেশ ৩২ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে তবে ভারত থেকে মার্চে পৌঁছানোর জন্য নির্ধারিত ৫০ লাখ ডোজের চালান এখনও আসেনি।
সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ কিনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান গত জানুয়ারিতে দেশে এসেছে এবং ২০ লাখ ডোজের দ্বিতীয় চালানটি ফেব্রুয়ারিতে আসে।
রপ্তানি বন্ধে ভারতের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার দাবিসহ বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিনের উচ্চ চাহিদার কথা স্বীকার করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, ‘আমি মনে করি যে আমাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং অগ্রিম অর্থ প্রদান করার কারণে এটি আমাদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। ভারত আশ্বাস দিয়েছে যে সময় মতো ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে এবং আমরা এটি বিশ্বাস করি।’
আরও পড়ুন: ভারতে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড আড়াই লাখের বেশি করোনা শনাক্ত
গত মাসে ঢাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময়, দু'দেশ চলমান কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেছেন এবং চলমান সংকট চলাকালীন দু'দেশের মধ্যে টিকার সরবরাহ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ পক্ষে ভারতের তৈরি অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ৩২ লাখ ডোজ উপহার হিসেবে দেয়ায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালান সরবরাহের প্রশংসা করা হয়।
সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের ভ্যাকসিনের অবশিষ্ট চালান নিয়মিত সরবরাহের সুবিধার্থে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়।
ভারত তাদের দেশীয় কোম্পানি ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাংলাদেশকে সর্বোত্তম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিল।
ড. মোমেন বলেন, ‘তারা (ভারত) বেশি উত্পাদন করছে তবে তারা তাদের নিজস্ব চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। আমরা অন্যান্য উত্সের সাথে যোগাযোগ করছি।
তিনি বলেন, এর আগে চীন বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহে আগ্রহ দেখিয়েছিল কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও) কর্তৃক তাদের ভ্যাকসিন অনুমোদিত না হওয়ায় বাংলাদেশ সে সময় আগ্রহ দেখায়নি।
ড. মোমেন বলেন, চীন তাদের বিশাল জনসংখ্যার জন্য ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে, তারা ৫০টিরও বেশি দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে যেখানে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়নি বলে তারা বলছে। আমরা তাদের সাথে (চীন) আবার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে তারা আমাদের সহায়তা করতে পারে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশকে একটি সহ-উত্পাদনে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এটা খারাপ না, আমরা আমাদের বিকল্পগুলো খোলা রাখছি।’
তিনি বলেন, রাশিয়া প্রযুক্তি দেবে এবং বাংলাদেশি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর পরিস্থিতি ঠিকঠাক থাকলে এখানে রাশিয়ান ভ্যাকসিন তৈরি করবে। এটি কম মূল্যের হবে এবং আশা করি এটি আরও ভালো হবে।’
রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেসমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ) জানিয়েছে, রাশিয়ান স্পুটনিক ভি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবহারেরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত।
বিশ্বব্যাপী টিকার উচ্চ চাহিদা থাকা সত্ত্বেও প্রতিবেশী ভারত প্রথমে বাংলাদেশে করোনার টিকা রপ্তানি করতে সম্মত হয়।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বুদ্ধিমান নেতৃত্ব এবং দূরদর্শিতার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। তিনি প্রথম থেকেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে টানা তৃতীয় দিনের মতো শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি এই ভাইরাসে আরও ১০২ জন মারা গেছেন।
এর আগে শুক্রবার ও শনিবার ১০১ জন করে মৃত্যুর কথা জানায় অধিদপ্তর। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৮৫ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৩ হাজার ৬৯৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জনে। নতুন সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ১২১ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৬ জন।
৩ বছর আগে
করোনা: ২৪ ঘণ্টায় দেশে টিকা নিয়েছেন সোয়া দুই লাখেরও বেশি মানুষ
দেশব্যাপী চলমান টিকাদান কর্মসূচিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনার টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ২৫ হাজার ২৮০ জন। যাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৩৯ হাজার ৭৮০ জন এবং নারী ৮৫ হাজার ৫০০ জন।
৩ বছর আগে
করোনা: ২৪ ঘণ্টায় দেশে টিকা নিয়েছেন সোয়া দুই লাখেরও বেশি মানুষ
দেশব্যাপী চলমান টিকাদান কর্মসূচিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনার টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ২৬ হাজার ৭৫৫ জন। যাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৪৫ হাজার ২০৩ জন এবং নারী ৭১ হাজার ৫৫২ জন।
৩ বছর আগে
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন: আপনার যা জানা দরকার
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অব এক্সপার্ট অন ইমিউনাইজেশন (এসএজিই) বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু অন্তর্বর্তীকালীন সুপারিশ করেছে।
৩ বছর আগে