এ বিপরিতমুখী বক্তব্যের মধ্যে কোনটি সত্য তা তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা যায়নি। সেই সাথে উড়োজাহাজটিতে থাকা যাত্রীর সংখ্যা ও তাদের পরিণতি এবং বিধ্বস্ত হওয়ার কারণও তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
গজনির প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র আরিফ নুরি জানান, উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে রাজধানী কাবুল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা দেহ ইয়াকে বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাস্থলটি তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় পড়েছে। প্রাদেশিক কাউন্সিলের দুজন সদস্যও এ দুর্ঘটনার কথা নিশ্চিত করেছেন।
কিন্তু আরিয়ানা এয়ারলাইন্সের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মিরওয়াইস মিরজাকওয়াল তাদের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার খবর উড়িয়ে দেন। সংস্থাটি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দাবি করে তাদের সব উড়োজাহাজ সক্রিয় ও নিরাপদ রয়েছে।
পাহাড়ি প্রদেশ গজনি হিন্দুকুশ পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত এবং শীতকালে সেখানে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ে। বর্তমানে এ প্রদেশসহ দেশের প্রায় অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ বা দখল করে রেখেছে তালেবান।
আফগানিস্তানে সর্বশেষ বড় ধরনের বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০০৫ সালে। তখন কাম এয়ারের একটি ফ্লাইট পশ্চিমাঞ্চলের হেরাত থেকে রাজধানী কাবুলে যাওয়ার পথে তুষারময় আবহাওয়ায় অবতরণ করতে গিয়ে পর্বতে বিধ্বস্ত হয়েছিল।
তবে যুদ্ধের কারণে দেশটিতে বেশ কয়েকটি সামরিক উড়োজাহাজের মারাত্মক দুর্ঘটনা দেখা গেছে। সবচেয়ে স্মরণীয়টি ছিল ২০১৩ সালে উত্তর কাবুলের বাগরাম বিমানঘাঁটি থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যাওয়ার জন্য একটি আমেরিকান বোয়িং ৭৪৭ কার্গো জেট উড্ডয়নের পরপরই ধসে গিয়েছিল। এতে সাত ক্রুর সবাই নিহত হন।
তালেবান শাসনামলে আফগানিস্তানের একমাত্র এয়ারলাইন আরিয়ানা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লে এবং শুধুমাত্র হজফ্লাইট নিয়ে সৌদি আরব যাওয়ার অনুমতি থাকলে দেশটির উড়োজাহাজ চলাচল শিল্প মারাত্মক সংকটে পতিত হয়। তবে তালেবানদের পতনের পর কয়েকটি ছোট বেসরকারি এয়ারলাইন্স চালু হলেও এ শিল্পটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়েই রয়ে গেছে।