ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কয়েকদিনের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বসতে যাচ্ছেন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কাউকে এই আলোচনায় রাখা হচ্ছে না।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) একজন মার্কিন আইনপ্রণেতা ও পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।-খবর দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জার্মানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সৌদিতে বৈঠকে ইউক্রেন উপস্থিত না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের আলোচনায় ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কৌশলগত অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যাবে না কিয়েভ।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য মাইকেল ম্যাককল জানিয়েছেন, ‘দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করতে সৌদি সফরে যাবেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একমত ট্রাম্প-পুতিন, বসবেন সৌদিতে
তবে তারা সৌদি আরবে রাশিয়ার কোনো কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে ম্যাককল জানান, সৌদিতে বৈঠকের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হবে। তাদের মূল লক্ষ্য রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করে অঞ্চলগুলোতে চূড়ান্তভাবে শান্তি আনা।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বৈঠকের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর গেল তিন বছর ধরে সেই যুদ্ধ চলছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে একমত হওয়ার কথা জানায় ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে এই বৈঠক হতে পারে বলেও তিনি আভাস দিয়েছিলেন তিনি।