ইউরোপীয় ইউনিয়নের আকাশসীমায় রাশিয়ার সব ধরনের বিমান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন বলেছেন, ‘আমরা রাশিয়ান মালিকানাধীন, রাশিয়াতে নিবন্ধিত এবং রাশিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যেকোন ধরনের বিমানের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের আকাশসীমা নিষিদ্ধ ঘোষণা করছি।’
এই ঘোষণার পর বহু যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন থেকে এমন সকল বিমান, এমনকি ধনীদের ব্যক্তি মালিকানাধীন জেট ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভুক্ত কোন দেশে অবতরণ করতে পারবে না, উড্ডয়ন করতে পারবে না এবং সেদেশ দেশগুলোর আকাশসীমার উপর থেকে উড়েও যেতে পারবে না।
যুক্তরাজ্য থেকেও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর ইউরোপীয় অনেক দেশ রাশিয়ার জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করছে। জার্মানি তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ান বিমানগুলোকে অনেক ঘুরে যাতায়াত করতে হবে এবং তাতে ফ্লাইটের সময় অনেক বেশি লাগবে।
বাণিজ্যিক বিমানগুলো ইতোমধ্যেই ইউক্রেন, মলদোভা এবং বেলারুশের আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে।
প্রতিশোধমূলক সিদ্ধান্ত হিসেবে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বিমানসংস্থা এরোফ্লোট বলেছে, তারাও ইউরোপগামী সকল ফ্লাইট বাতিল করবে। পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত এসব ফ্লাইট বন্ধ থাকবে।
ব্রিটিশ বিমানের উপরেও একই ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে উচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ পুতিনের, বাড়ছে উত্তেজনা
এদিকে, ইউক্রেনে আগ্রাসনের চতুর্থ দিনে রবিবার পারমাণবিক অস্ত্র বহনকারী বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ জাতীয় পদক্ষেপ পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ন্যাটো জোটের শীর্ষ নেতাদের ‘আগ্রাসী বিবৃতি’ এবং কঠোর আর্থিক নিষেধাজ্ঞার উদ্ধৃতি দিয়ে পুতিন রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র বহনকারী বাহিনীকে উচ্চ সতর্ক থাকার এ নির্দেশনা জারি করেন।
অপরদিকে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের বৈঠক বেলারুশ সীমান্তে হবে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয় টেলিগ্রাম ম্যাসেজিং অ্যাপে জানিয়েছে, বেলারুশ সীমান্তের একটি অজ্ঞাত স্থানে সাক্ষাৎ করবে দুই পক্ষ। তবে বৈঠকের কোনো নির্দিষ্ট সময় জানানো হয়নি।