স্থানীয় সময় শুক্রবার মধ্যরাতের ঠিক পরেই শক্তিশালী ও অগভীর এক ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সুলাওয়েসি। ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট ভূমিধসের কারণে বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন স্থানীয়রা। এখনও বিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করছে কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, বাড়ির ধ্বংসাবশেষে আটকে পড়া একটি মেয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করে বলছে যে তার মা বেঁচে আছেন কিন্তু বের হয়ে আসতে পারছেন না।
মেয়েটি উদ্ধারকারীদের বলে, ‘দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।’
তুরস্ক ও গ্রিসে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০
এদিকে, প্রায় দুই হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষকে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার একই জেলায় ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ছোট-বড় কয়েক দফা ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন স্থানে ভূমিধস দেখা দিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় ৬.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অব ফায়ারে অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পপ্রবণ। ভূমিকম্প ছাড়াও সেখানে প্রায়শই ঘটে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা। ২০১৮ সালে সুলাওয়েসির পালু শহরে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাতে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
এছাড়াও ২০০৪ সালে ৯.১ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় ইন্দোনেশিয়ায়। ওই ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট বিশাল সুনামিতে প্রাণ হারান দুই লাখেরও বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন: তুরস্কে ৬.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ১৮