ইরানের গণমাধ্যম দাবি করেছে, ম্যাকাইরের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ প্ররোচিত করার অভিযোগ উঠেছে।
তেহরান-ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা তাসনিম তার আটকের খবর প্রকাশের পরে ইরানি এতেমাদ পত্রিকা টুইটারে রাষ্ট্রদূতের একটি ছবি শেয়ার করেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করার বিষয়টি অস্বীকার করার কারণে ইরানের রাজধানী তেহরানে শনিবার কয়েকশ বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে ক্ষোভ প্রকাশ করে। অন্তত দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে এই বিক্ষোভ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মিথ্যাবাদী বলে অভিহিত করেছে তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তার মাধ্যমে এই ‘অনুপ্রেরণামূলক’ বিক্ষোভের প্রতি তার সমর্থন জানিয়েছেন।
তেহরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের উসকানি দেয়ার অভিযোগে তেহরান তিন ঘণ্টা আটকে রাখে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকাইরকে।
তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে ফিরে যাওয়ার পথে রওনা হন, তবে চুল কাটার জন্য নাপিতের দোকানের সামনে থামার সাথে সাথে তাকে আটক করে ইরানের পুলিশ।
এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, ‘তেহরানে আমাদের রাষ্ট্রদূতকে কোনো কারণ ছাড়াই আটক করা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ইরান সরকার এই মুহূর্তে একটা দ্বান্দ্বিক অবস্থানে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন বিমান ভূপাতিত করার কথা স্বীকার করল ইরান
প্রসঙ্গত, ইরান শনিবার ঘোষণা করেছে, তাদের সেনাবাহিনী ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানকে ভূপাতিত করেছিল, যাতে ১৭৬ আরোহীর সকলেই নিহত হন। এর আগে ওই ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা বারবার ইরানকে দায়ী করলেও তারা সেটি অস্বীকার করে।
গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। এর মাত্র চার দিন পর গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ইরানের রাজধানী তেহরানের পাশে ইউক্রেনের ওই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হন।