নানা টালবাহানার পর ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়াল যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলায় চালিয়েছে ওয়াশিংটন। এতে চলমান সংঘাত আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সময় রবিবার (২২ জুন) ভোরে ফোরদো, ইসফাহান ও নাতানজের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা অ্যাসেসিয়েটেড প্রেসের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় অত্যন্ত সফলভাবে হামলা পরিচালনা করেছি, যার মধ্যে রয়েছে ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান।’
হামলার বিষয়টি ইরানের পারমাণবিক সংস্থা থেকেও নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে হামলা সত্ত্বেও ওই স্থাপনাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ না করে বরং চালিয়ে যাওয়া হবে বলে দাবি করেছে ইরান।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত করার অজুহাতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এবার তেল আবিবের সঙ্গে যুক্ত হলো ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়াবে কি না, সিদ্ধান্ত দুই সপ্তাহের মধ্যে
মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, ইরানের সুরক্ষিত পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্টেলথ বোমা ও জিবিইউ-৫৭ ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমা প্রয়োজন ছিল, যা ভূগর্ভের গভীরেও আঘাত হানতে সক্ষম।
ট্রাম্প জানান, তিনি রাত ১০টায় (ইস্টার্ন টাইম) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এই হামলাকে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এখনই ইরানকে এই যুদ্ধ বন্ধে রাজি হতে হবে। ধন্যবাদ!’
হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য না করলেও ট্রাম্প সমর্থিত ফক্স নিউজের উপস্থাপক শন হ্যানিটি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে, ফোরদোয় ছয়টি বাঙ্কার বাস্টার বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন থেকে নাতানজ ও ইসফাহানে ৩০টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।