ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চান না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মতে, এটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) নেদারল্যান্ডের হেগে ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে বিমান এয়ারফোর্স ওয়ানে করে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ইরানকে কোনোভাবেই পরমাণু অস্ত্র রাখতে দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও জানান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাকে মুঠোফোনে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিরসনে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এর আগে, সোমবার যদিও নিজের মালিকানাধীন সামাজিকমাধ্যম সোশ্যাল ট্রথে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি ইরানের পুরো শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের চিন্তা করছেন। তিনি ওই পোষ্টে লিখেছিলেন, ‘বর্তমান ইরানি শাসন যদি ইরানকে আবার মহান করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন কেন হবে না?’
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইরানে ইসরায়েলের হামলা, দুই জেনারেলসহ নিহত ৭
ট্রাম্পের এমন পোস্টের পর মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইরানের শেষ শাহ্-এর ছেলে রেজা পাহলভি এক বক্তব্যে ঘোষণা করেন, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্রের পতনের সময় খুব কাছাকাছি। এটাই আমাদের বার্লিন প্রাচীর পতনের মুহূর্ত।’
তিনি বলেন, ‘একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক নতুন ইরান কল্পনা করুন, যেখানে জনগণ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে এবং দেশ হয়ে উঠবে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু।’
এর আগে, সোমবার (২৩ জুন) সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের সংঘাতকে ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ দাবি করে বলেন, ‘ইরান ও ইসরায়েল সম্পূর্ণ ও পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।’
তবে, ইরান-ইসরায়েল দুদেশই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। ইরানে ব্যাপক হামলাও চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় ইরানের দুই জেনারেলসহ আইআরজিসির সাত সদস্য নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ। অন্যদিকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা অস্বীকার করেছে ইরান।
সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা