তবে তার দাবি, এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ‘ভুল’। কারণ তিনি ভিত্তিহীনভাবে দাবি করে আসছেন যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়া রাজ্যগুলোতে ‘বিশাল জালিয়াতি’ এবং অসাধু কর্মকর্তাদের কারণে তিনি পরাজিত হয়েছেন।
আগামী জানুয়ারিতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য হোয়াইট হাউজ খালি করে দেবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, ‘অবশ্যই আমি দেব। তবে তার আগে অনেক কিছুই হতে পারে, যা হয়ত ফল বদলে দেবে।’
আরও পড়ুন: বাইডেনের বিজয় উল্টে দিতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কাজে লাগাচ্ছেন ট্রাম্প
নির্বাচনের পর গতকাল প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে আরও বলেন, ‘এ জন্য অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।’
ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী নিয়োজিত মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে টেলিকনফারেন্সের পর হোয়াইট হাউজের ডিপ্লোমেটিক রিসেপশন রুমে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি বাইডেনের বিজয়ে সাহায্যকারী দুই দোদুল্যমান রাজ্য জর্জিয়া এবং পেনসিলভেনিয়ার কর্মকর্তাদের নিয়ে বারবার অসন্তোষ প্রকাশ এবং ক্ষুব্ধভাবে তাদের দোষারোপ করেন।
ট্রাম্প দাবি করেন, নির্বাচনের বর্তমান যে ফল তা সত্ত্বেও হয়ত হোয়াইট হাউজে এটাই তার শেষ থ্যাংক্সগিভিং অনুষ্ঠান হবে না।
আরও পড়ুন: নরম হলেন ট্রাম্প, ক্ষমতা নেয়ার সবুজ সংকেত পেলেন বাইডেন
ট্রাম্প প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে ইতোমধ্যে সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাইডেনের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিয়ে চলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় তার মন্ত্রিসভা নির্ধারণ করা ঠিক হচ্ছে না।’ যদিও বাইডেনের টিমকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে ইতোমধ্যে উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
মার্কিন নির্বাচনে ইলেক্ট্রোরাল কলেজ এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট উভয় হিসেবে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন বাইডেন। তিনি ভোট পেয়েছেন প্রায় ৮ কোটি, যা এক রেকর্ড।