তিনি বলেন, ‘‘এটি ‘অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক’ যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে গত মার্চে তার প্রস্তাব অনুসারে ২০টি বৃহত শিল্পোন্নত দেশের নেতারা সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসেননি।’
‘প্রতিটি দেশ তাদের নিজ নিজ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, কখনো পরস্পরবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে করোনাভাইরাস পূর্ব থেকে পশ্চিমে, উত্তর থেকে দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেছে,’ বলেন তিনি।
সৌদি আরবের রিয়াদে নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনের আগে এসোসিয়েটেড প্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
তবে গুতেরেস আশা করেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন নিশ্চই বুঝতে পারছেন ‘ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের আরও সমন্বিত হওয়া দরকার।’
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) শুক্রবার প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য বলছে, বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৫ জন।
জেএইচইউ’র তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে বেড়ে ৪ কোটি ১৬ লাখ ৪০ হাজার ২৯৫ জনে। তবে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন তিন কোটিরও বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। মোট করোনা আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি এই তিন দেশে।