এছাড়া, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ৩২ হাজার ৯২২ জন। পাশাপাশি কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ লাখেরও বেশি মানুষ।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে সোমবার পর্যন্ত ২০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৩২ জনের। এছাড়া ব্রাজিলে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯ লাখ মানুষ এবং মারা গেছেন ৪৩ হাজার ৩৩২ জন।
আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। এরপরই রয়েছে ভারত, যুক্তরাজ্য এবং স্পেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর করোনাভাইরাসে মৃতের তালিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৭৮৩ জন।
এ দিকে, চীনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছে যে দেশটিতে রবিবার নতুন করে আবারও ৪৯ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩৯ জন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে সেখানে নতুন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি:
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন হাজার ১৪১ জনের শরীরে মহামারি করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সেই সাথে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৩২ জন।
এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ হাজার ৫২০ জন। আর মোট মৃতের সংখ্যা এক হাজার ১৭১ জন।
এছাড়া কোভিড-১৯ থেকে নতুন করে ৯০৩ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ৭৩০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১.৪০ শতাংশ।