এছাড়া, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ লাখ ৫২ হাজার ৮৮৫ জন।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, বুধবার পর্যন্ত ব্রাজিল ও রাশিয়া যথাক্রমে ৯ লাখ ২৩ হাজার ১৮৯ জন এবং ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৭২৫ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে।
এদিকে, রাশিয়ার পর চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ যুক্তরাষ্ট্রে বুধবার পর্যন্ত ২১ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯১৭ জনের।
যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর করোনাভাইরাসে মৃতের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৪৩ জন।
এদিকে চীনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছে যে, দেশটিতে গত রবিবার নতুন করে আবারও ৪৯ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩৯ জন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছে। তবে সেখানে নতুন কেনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি:
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনার চিকিৎসা দিতে অপারগতা: চসিকের ১০ চিকিৎসক বরখাস্ত
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৬২ জন।
নতুন আক্রান্তসহ এ পর্যন্ত দেশে করোনার শিকার হয়েছেন ৯৪ হাজার ৪৮১ জন। আর মোট মারা গেছেন ১ হাজার ২৬২ জন।
করোনায় নতুন যে ৫৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৪৭ জন এবং নারী ছয়জন। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ২৩৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ২৬৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।