এছাড়া, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩৩ জন।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, শুক্রবার পর্যন্ত ব্রাজিল ও রাশিয়া যথাক্রমে ৯ লাখ ৭৮ হাজার ১৪২ জন এবং ৫ লাখ ৬০ হাজার ৩২১ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে।
এদিকে, রাশিয়ার পর চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪৬ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ২৩৭ জনের।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ যুক্তরাষ্ট্রে শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ২২ লাখ মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪২১ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় প্রায় ৪৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সর্বোচ্চ মৃত্যুর তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৩৭৩ জনে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি:
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ দুই হাজার ২৯২ জনে। সেই সাথে মারা গেছেন মোট এক হাজার ৩৪৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩৮ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩১ এবং নারী সাতজন। মোট আক্রান্তের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ১.৩১ শতাংশ।
এছাড়া দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৩৪৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর পরীক্ষা করা হয় ১৬ হাজার ২৫৯টি নমুনা। এতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৮০৩ জন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৯৭৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১৬৪ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থতার হার ৩৯.২৬ শতাংশ।