ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ইনকর্পোরেশন জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি দলের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যাতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো পরীক্ষামূলক পিল তৈরি করতে পারবে। এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যার জন্য চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করবে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ফাইজারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি জেনেভা-ভিত্তিক মেডিসিন পেটেন্ট পুলে অ্যান্টিভাইরাল পিলের লাইসেন্স দেবে, যা জেনেরিক ওষুধ কোম্পানিগুলিকে ৯৫টি দেশের প্রায় ৫৩ শতাংশ জনসংখ্যার ব্যবহারের জন্য পিল তৈরি করতে সক্ষম করবে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ফাইজারের পিল কোথাও অনুমোদিত হওয়ার আগেই চুক্তিটি হয়েছিল, মহামারিটি দ্রুত শেষ করতে এটি সহায়তা করতে পারে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলো ফাইজারের আরও ২৫ লাখ টিকা
মেডিসিন পেটেন্ট পুলের নীতির প্রধান এস্তেবান বুরন বলেছেন, এটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ যে আমরা এমন একটি ওষুধ সরবারহ দিতে সক্ষম হব যা ৪০০ কোটির বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, আমরা কোম্পানির স্বার্থ, জেনেরিক উৎপাদকদের জন্য প্রয়োজনীয় স্থায়ীত্ব এবং নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে জনস্বাস্থ্যের প্রয়োজনের মধ্যে একটি খুব সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করি।
আরও পড়ুন: ফাইজারের পিল করোনায় মৃত্যু ঝুঁকি কমায় প্রায় ৯০ শতাংশ
যদিও চুক্তির শর্তাবলীর অধীনে ফাইজার নিম্ন-আয়ের দেশগুলিতে বিক্রয়ের অনুমতি পাবে না এবং চুক্তির আওতায় থাকা সমস্ত দেশে বিক্রয়ের উপর অনুমতি মওকুফ করবে যখন করোনা একটি জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থায় রয়েছে।
ফাইজার বলছে, এটি মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পিলটি অনুমোদন করতে অনুরোধ করবে।