আরও পড়ুন: অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন: আপনার যা জানা দরকার
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস টিকাদানের ক্ষেত্রে বিশ্বের সব অঞ্চলের সবাইকে অর্ন্তভূক্ত করার আহ্বান জানিয়ে সকলের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়া ‘বিশ্ব সম্প্রদায়ের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা’, হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ কে হার মানিয়ে এখন আমরা যে বৈজ্ঞানিক সক্ষমতা অর্জন করতে শুরু করেছি তা পূর্ববর্তী যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: ন্যায্য প্রাপ্যতা নিশ্চিতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ‘মার্কেট ড্যাশবোর্ড’ চালু করল ইউনিসেফ
তারপরেও, বিশ্বজুড়ে টিকাদানের অগ্রগতি ক্ষেত্রে অসমতা ও অনিরপেক্ষতা লক্ষ্য করা গেছে। এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ টিকার ৭৫ শতাংশ বিশ্বের ১০টি দেশ প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে, ১৩০টিরও বেশি দেশ এখনও করোনা টিকার কোন ডোজ পায়নি। টিকা না পাওয়ায় সংঘাত এবং নিরাপত্তাহীনতায় আক্রান্ত সেসব দেশ বিশেষ ঝুঁকিতে রয়েছে, বলেন তিনি।
বিশ্বজুড়ে টিকাদান পরিকল্পনা
ধনী গরীব নির্বিশেষে সব দেশকে টিকা সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ও অংশীদারদের নিয়ে কোভ্যাক্স প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশ্বব্যাপী এ প্রচেষ্টায় পুরোপুরি অর্থায়ন করতে হবে বলেও মনে করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন: বাংলাদেশের কাছে ‘বিকল্প কম’
তবে, এর বাহিরেও আমাদের আরও অনেক বেশি কিছু করতে হবে। প্রয়োজনীয় ক্ষমতা, বৈজ্ঞানিক দক্ষতা, উৎপাদন ও আর্থিক সামর্থ্যের নির্বিশেষে বিশ্বকে জরুরিভিত্তিতে বৈশ্বিক টিকাদান পরিকল্পনা নেয়া দরকার, বলেন তিনি।
বিশ্বের ধনী দেশগুলো এবং জি২০ সমন্বয় করে একটি জরুরি টাস্কফোর্স গঠন করার প্রস্তাবও দেন আন্তোনিও গুতেরেস।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য চুক্তিতে সম্মত ইইউ
এ টাস্কফোর্সটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এবং প্রধান শিল্প ও যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারীদের সঙ্গে নিয়ে একসাথে কাজ করবে। এ প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে জাতিসংঘের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
ঐতিহাসিক প্রচেষ্টা
এদিকে, চলতি বছরের শেষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ২০০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের লক্ষ্যে কোভিড-১৯ টিকা বিতরণের প্রস্তুতিতে সহায়তা দিচ্ছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।
আরও পড়ুন: চীনের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিরাপদ: দ্য ল্যানসেট
ঐতিহাসিক এ প্রচেষ্টা অভূতপূর্ব সমর্থনের দাবি রাখে উল্লেখ করে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা ফরে বলেন, সংঘাতে বিধ্বস্ত দেশগুলোতে থাকা পরিবার ও সম্প্রদায়ের কাছে এই আলোর বার্তা নিশ্চিন্তে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আমাদের এ প্রচেষ্টায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সব দেশে জাতীয় টিকাদান পরিকল্পনায় সকলের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য কাউন্সিলের সমর্থন প্রয়োজন। তারা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে বসবাস করছে কিনা নির্বিশেষে টিকা পৌঁছে দিতে হবে, বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য বিশ্বব্যাংকের ১২০০ কোটি ডলার অনুমোদন