রবিবার সংসদে দেয়া বক্তৃতায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ঘোষণা দেন যে তিনি খাসোগির মামলার বিষয়ে ‘বিস্তারিত প্রকাশ করবেন’।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সমালোচক জামাল খাসোগি গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলে সৌদি দূতাবাসে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন।
এরদোয়ানের ঘোষণার পর খাসোগির পরিণতি নিয়ে যে রহস্য, পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ও ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে আশার সৃষ্টি হয়েছে।
৫৯ বছর বয়সী খাসোগি দূতাবাসের ভেতরে নিহত হয়েছেন বলে শনিবার এক বিবৃতিতে সৌদি আরব শেষ পর্যন্ত স্বীকার করে নেয়ার পরদিন এরদোয়ানের এই নতুন ঘোষণা আসল।
তবে খাসোগি ‘হাতাহাতি’ করে নিহত হয়েছেন বলে সৌদি আরব যে দাবি করেছে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সন্দেহ প্রকাশ করেছে। সৌদি আরব জানিয়েছে, ঘটনার জেরে তারা ১৮ জনকে গ্রেপ্তার এবং উচ্চপদস্থ কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
তুরস্কের সরকারপন্থী গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক খাসোগিকে হত্যার জন্য সৌদি আরবের ১৫ সদস্যের খুনির দল তুরস্কে এসেছিল এবং কয়েক ঘণ্টা পর ব্যক্তিগত বিমানে করে ফিরে যায়।
এরদোয়ান তার ভাষণে বলেন, ‘কেন এই ১৫ জন লোক এখানে এসেছিল? কেন ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? এসব বিষয় বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।’