শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলি মিলিটারি গণমাধ্যমকে জানায়, তারা গাজা উপত্যকায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করেছে।
ইসরায়েলি মিলিটারির এই বিবৃতি দ্রুতই উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। ইসরায়েলের গাজায় স্থল আক্রমণের মাধ্যমে হামাসকে ঘায়েল করার চেষ্টা যেকোনও রক্তাক্ত সহিংসতার চূড়ান্ত বলেই বিবেচনা করা হয়। এরই মধ্যে কিছু সংবাদকর্মীকে সরাসরি জানায় যে, ইসরায়েল স্থল আক্রমণ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত
কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরই ইসরায়েল সেনা কর্তৃপক্ষ আগের বিবৃতির ব্যাখ্যা হিসেবে আরও একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। বিবৃতিতে জানানো হয়, গাজাতে কোন ইসরায়েলি সেনা অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই বেশকিছু সংবাদ প্রতিষ্ঠান গাজায় স্থল হামলার ভুল খবর প্রকাশ করে।
ইসরায়েলি সেনা কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে ব্যাখা করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনাকে হামাসের জন্য একটি ফাঁদ হিসেবে দেখছেন। তারা বলেন, মিডিয়াকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে ইসরায়েল অসংখ্য হামাস যোদ্ধাদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।
আরও পড়ুন: গাজায় স্থল হামলা চালানোর হুমকি ইসরায়েলের
যুদ্ধ সাংবাদিক ওর হেলার ইসরায়েলের টেলিভিশন চ্যানেল থার্টিনকে বলেন, ‘তারা মিথ্যা বলেনি। বরং তারা একটি সুচতুরভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে এবং তারা সফল।’
এর আগে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ৯ হাজার সংরক্ষিত সেনাসদস্য নামানোর ঘোষণা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইসরায়েল গাজা সীমান্তে ট্যাংক স্থাপন করে। পূর্ববর্তী ঘটনাগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, গাজায় স্থল অভিযান ছিল অত্যন্ত রক্তক্ষয়ী এবং অসংখ্য ফিলিস্তিনিদের প্রাণ হারাতে হয়।
হেলারের মতে, ইসরায়েলে কূটকৌশলে মূল উদ্দেশ্য ছিল হামাসকে ফাঁদে ফেলা। প্রচারিত সংবাদের মাধ্যমে হামাস বিভ্রান্ত হয়ে পাল্টা হামলার জন্য মাটির নিচে টানেলে অবস্থান নিলেই সেখানে হামলা চালানোই ছিল মূল পরিকল্পনা।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র সহিংসতায় ক্লান্ত গাজাবাসীর ঈদে নেই আনন্দ
ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, তারা ওই রাতে ১৬০টি যুদ্ধবিমান দিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট বিভিন্ন টানেলে বোমা বর্ষণ করে। হেলারের মতে এতে অসংখ্য হামাস যোদ্ধা নিহত হবার কথা। কিন্তু এর সত্যতা নিশ্চিত করা অসম্ভব বলেও জানান তিনি।
কিন্তু এমন কোনও ঘটনার কথা স্বীকার করেনি ইসরায়েলে মুক্তিকামী হামাস।
এদিকে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) তাদের বিশ্লেষণ ও গাজা থেকে জানায়, এমন কোনও হামলার ঘটনাই ঘটেনি।
কিন্তু অন্যান্য বিদেশী গণমাধ্যমগুলো ইসরায়েলি মিলিটারিকে ভুল তথ্য দেয়ার জন্য অভিযুক্ত করে।