চাদের নিরাপত্তা বাহিনী দেশটির দুটি বড় শহরে বৃহস্পতিবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালালে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়। বিষয়টি সরকারের এক মুখপাত্র ও মর্গের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মধ্য আফ্রিকার দেশটিতে অন্তর্বর্তী নেতা মহামত ইদ্রিস দেবির ক্ষমতার দুই বছরের মেয়াদ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ফলে সৃষ্ট এই সহিংসতার পরে কর্তৃপক্ষ কারফিউ জারি করে।
চাদ সরকারের মুখপাত্র আজিজ মহামত সালেহ বলেন, রাজধানী এনজামেনায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই সংখ্যা ৪০ হবে।
শহরের মর্গের একজন কর্মকর্তা জানান, চাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাউন্ডুতে আরও ৩২ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন। বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা বলেন, ৬০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় কারফিউ উপেক্ষা করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত
অন্যান্য বিক্ষোভ দেশটির ডোবা ও সারাহ শহরে সংঘটিত হয়।
তিন দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকার পর দেবির বাবার হত্যাকাণ্ডের পর তিনি গত বছর দায়িত্ব নেন। সেসময় থেকে এটিই হচ্ছে বড় আকারের মারাত্মক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ।
কর্মকর্তারা বলেন, প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস দেবি ইতনো ২০২১ সালের এপ্রিলে দেশটির উত্তরাঞ্চলে যুদ্ধক্ষেত্রে চাদ সেনাদের সঙ্গে দেখা করার সময় বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হন।
এনজামেনার প্রধান হাসপাতালে, বন্দুকের গুলিতে আহত অনেক ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিতে হিমিশিম খেয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে লিবার্টি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাদের ওপর নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাজাখস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৬৪
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও বলেন, বিক্ষোভকারীরা এনজামেনার রাজধানী জুড়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত ৩ টার দিকে জড়ো হতে থাকে। পুলিশ ভিড় লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছুড়লেও বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে আসতে থাকে এবং তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তখনই নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়, বিক্ষোভকারীরা কাঁদানে গ্যাসের মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদের জড়ো করতে লড়াই করে।
নিহতদের মধ্যে একজন চাদ সাংবাদিক নার্সিস ওরেজে আছেন। যিনি সিইএফওড রেডিওতে কাজ করতেন এবং এক বুলেট আঘাতে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত ১, আহত ১৩