চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেইহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়ার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক একটি পাবলিক পার্কে ছুরি হামলার শিকার হয়েছেন।
পৃথক বিবৃতিতে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে সোমবার (১০ জুন) ঘটা এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি চীন।
এক বিবৃতিতে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট জনাথন ব্র্যান্ড বলেছেন, চীনের শিল্পনগরী জিলিনের একটি পার্কে বেইহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ফ্যাকাল্টি সদস্যের সঙ্গে ছিলেন ওই চার শিক্ষক। এমন সময় তাদের ওপর হামলা হয়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সংকট নিরসনে চীনের প্রচেষ্টার প্রশংসায় পুতিন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ছুরি হামলার ঘটনাটি জেনেছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
হামলাটি কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে না কি উদ্দেশ্যহীন, প্রাথমিকভাবে তা জানা সম্ভব হয়নি। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র জেন ভিসার জানিয়েছেন, ঘটনাটি সম্পর্কে তারা এখনও তথ্য সংগ্রহ করছেন।
এ ঘটনাটি পুরোপুরি চেপে গেছে চীন। সংবেদনশীল যেকোনো ঘটনা বা তথ্যের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখে দেশটির সরকার। ফলে চীনের সংবাদমাধ্যমেও এ বিষয়ে কোনো খবর প্রকাশ হয়নি। তবে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের বরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে এই ঘটনার বিষয়ে পোস্ট করা হয়েছে।।
বাণিজ্যযুদ্ধ, তাইওয়ান, দক্ষিন চীন সাগর ও ইউক্রেন ইস্যুর মতো বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা যখন ক্রমশঃ বাড়ছে, এর মধ্যেই ঘটনাটি ঘটল।
আরও পড়ুন: চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত: শি জিনপিং
কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র ভিসার বলেছেন, আইওয়ার এই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়টি চীনের বেইহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অংশিদারত্বের চুক্তি করেছে। এই চুক্তির ফলে ২০১৮ সাল থেকে কর্নেলের শিক্ষকরা বেইহুয়ার কম্পিউটার বিজ্ঞান, গণিত ও পদার্থবিদ্যা বিষয়ে ওপর দুই সপ্তাহের জন্য ক্লাস নেন।
প্রকৌশলের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই পদ্ধতিতে শিক্ষাদান কার্যক্রম চালায় বেইহুয়া। এসব বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকের এক-তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রের এবং দেশটির অধ্যাপকরাই সেগুলো পড়ান। শিক্ষার্থীরা চাইলে চার বছরের কোর্সের অর্ধেক সময় কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এবং যৌথ ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন।