নতুন এ ফ্লু ভাইরাসটি শূকরের মধ্যে পাওয়া গেলেও তা মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হতে পারে এবং মানবদেহ থেকে মানবদেহে সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এ ভাইরাসটির আরও রূপান্তর ঘটতে পারে এবং এটি সহজেই ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়িয়ে বিশ্বব্যাপী প্রকোপ আকার ধারণ করতে পারে বলে গবেষকরা তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তারা বলছেন, এটি যদিও কোনো তাৎক্ষণিক সমস্যা নয় তবে এটি মানবদেহে সংক্রমিত হওয়ার ‘সব সম্ভাবনা’ রয়েছে। তাই এ বিষয়টিতে নিবিড় পর্যবেক্ষণ জরুরি।
নতুন ধরনের এ ভাইরাস মোকবিলায় মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম বা নাও থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন।
ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস জার্নালে প্রসিডিংসে তারা লিখেছেন, এ ভাইরাসটি শুয়োরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার ব্যবস্থা করা এবং এটি নিয়ন্ত্রণের সোয়াইন শিল্পে কর্মরত কর্মীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা দ্রুত বাস্তবায়ন কার উচিত।
কোভিড-১৯ মহামারির মোকাবিলায় বিশ্ব যখন লড়াই করছে, বিশেষজ্ঞরা ইনফ্লুয়েঞ্জার নতুন এ স্ট্রেনের কারণে রোগের হুমকির বিষয়টি নজরদারি করছেন।
এরআগে, ২০০৯ এর শুরুর দিকে মেক্সিকোতে সোয়াইন ফ্লু প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল। তবে প্রাথমিকভাবে সেটি বিজ্ঞানীদের ভাবনার চেয়ে কম মারাত্মক ছিল।