ভূমিকম্পে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা না ঘটলেও সড়কের সিগনাল এবং এলেভেটর বন্ধ হয়ে যায়। কিছু এলাকায় রেলযোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৩ এবং এর কেন্দ্র ফুকুশিমা প্রিফেকচারের উপকূলে ভূত্বকের ৬০ কিলোমিটার গভীরে বলে জানিয়েছে জাপানের আবহওয়া সংস্থা।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় বাংলাদেশের শোক
তুরস্কে ৬.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ১৮
ফুকুশিমা ও মিয়াগি প্রদেশ এবং আশেপাশের টোকিওর চিবা, কানাগাওয়া এবং সাইতামায় ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীসহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ফুকুশিমা ও আশপাশের প্রিফেকচারগুলোসহ মূলত উত্তরপূর্ব জাপানেই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের এ ঘটনা ঘটে।
প্রায় ১০ বছর আগে ২০১১ সালের ১১ মার্চ ভয়াবহ এক ভূমিকম্প ও পরবর্তী ব্যাপক সুনামিতে জাপানের উত্তরপূর্বাঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল। ওই সময় সিকি শতাব্দির মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটেছিল। বিপর্যয়ের একটি ঘটনার কেন্দ্রস্থল ছিল দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদ সুগা সকালে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বলেছন, সরকার অনেক লোকের আহত হওয়ার খবর পেলেও নিহতের কোনো খবর পায়নি।
তিনি জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইরানে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত কমপক্ষে ৫
ক্যালিফোর্নিয়ায় এবার ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত
সুগা বলেন, ‘আমরা চাই স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যের প্রতি গভীর নজর দিয়ে তাদের রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।’
প্রায় ৯ লাখ লোক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে পড়লেও সকাল পর্যন্ত বেশিরভাগ এলাকায় তা সমাধান করা হয়।
বিশ্বের সবচেয়ে কম্পনপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত জাপানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। বিশ্বের ৬ বা ততোধিক মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় ২০ শতাংশ জাপানে হয়।