চীন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হারকে কমিয়ে আনতে অনেকাংশে সফল হয়েছে, তবে সেখানে ক্ষুদ্র আকারের প্রকোপ রয়েছে।
জিনজিয়াংয়ে চীনের বেশিরভাগ মুসলিম উইঘুর সংখ্যালঘুদের বাসস্থান, অধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে যে যারা বেইজিং সরকারের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে।
কাশগড়ের স্কুলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট না থাকলে বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই গণপরীক্ষায় ১৩৭টি উপসর্গবিহীন করোনা রোগী পাওয়া গেছে।
চীনে মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮৫ হাজার ৮১০ জন। অন্যদিকে এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন।
কাশগড় শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২.৮ মিলিয়ন পরীক্ষা শনিবারের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি পরীক্ষা আগামী দুইদিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য বলছে, বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ ছাড়িয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৯ লাখের ঘরে।
সোমবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৯ লাখ ২৩ হাজার ৩১১ জনে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী- প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ১১ লাখ ৫২ হাজার ৯৯০ জন। পাশাপাশি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৩ ব্যক্তি।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। মোট করোনা আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি এই তিন দেশে।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে আমেরিকা। এখনও ব্যাপক হারে সেখানে করোনার বিস্তার হচ্ছে। দ্রুত আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুও থেমে নেই।
দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৮৬ লাখ ৩৩ হাজার ১৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ২ লাখ ২৫ হাজার ২২৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
যক্তরাষ্ট্রের পরে মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি রয়েছে ব্রাজিল, ভারত, মেক্সিকো এবং যুক্তরাজ্য।
এদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৭৮ লাখ ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৪ জন। মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। দেশটির সরকার ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী- দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৫৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৩৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯০৩ জনের।
স্পেনে জরুরি অবস্থা জারি
স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ রবিবার দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। সেখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।
সানচেজ বলেছেন, তার সরকার আগামী ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছে।