সশস্ত্র বিদ্রোহী তালেবান যোদ্ধারা রবিবার কাবুলের উপকণ্ঠে প্রবেশ করলে আতঙ্কিত কর্মকর্তারা সরকারি অফিস থেকে পালিয়ে বের হয়ে যায়। এসময় হেলিকপ্টারগুলো দেশটির রাজধানীতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে অবতরণ করছিল।
তিন আফগান কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, তালেবানরা রাজধানীর কালাকান, কারাবাগ এবং পাগমান জেলায় অবস্থান করছে। বিদ্রোহীরা ‘জোর করে’ রাজধানী দখল না নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় যদিও রাজধানীতে বিক্ষিপ্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
আরও পড়ুনঃ আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল দখল শেষে কাবুলের পথে তালেবান
তালেবান বলছে, ‘কারও জীবন, সম্পত্তি এবং মর্যাদা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এবং কাবুলের নাগরিকদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে না।’
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দেশব্যাপী তালেবানরা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে পরাজিত করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাত্ক্ষণিকভাবে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।
আক্রমণ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো শনিবার জাতির উদ্দেশে কথা বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি।
ভবিষ্যতের আশঙ্কায় হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ এখন কাবুলের পার্ক এবং খোলা জায়গায় বাস করতে শুরু করেছে। শত শত ব্যক্তি বেসরকারি ব্যাংকের সামনে জড়ো হয়ে তাদের সঞ্চয় প্রত্যাহারের চেষ্টা করলে কিছু এটিএম ক্যাশ বিতরণ বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুনঃ তালেবান হামলায় ২০১৯ সালে নিহত ২,২১৯ বেসামরিক আফগান
বেশ কয়েকটি পয়েন্টে গোলাগুলি শুরু হয়, যদিও আফগান প্রেসিডেন্ট এটি কমানোর চেষ্টা করছেন।
এমন বিশৃঙ্খলার মধ্যে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কাবুল শহরের নিরাপত্তার জন্য আন্তর্জাতিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’